Source: The Daily Manabzamin: জঙ্গি হামলায় প্রকম্পিত হয়েছে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। সেখানে তালেবান জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে আফগানিস্তানের পার্লামেন্ট ভবন, কয়েকটি দূতাবাস ও ন্যাটোর দপ্তরে। বিবিসি জানায়, এ ঘটনার পর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস। তবে এ হামলায় কেউ হতাহত হয়েছেন কিনা তা জানা যায় নি। অনলাইন আল জাজিরা জানায়, তালেবানরা এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা বলেছেÑ সংগঠিত হয়ে তারা এ হামলা চালায়। একযোগে কয়েক হাজার তালেবান আত্মঘাতী হামলাকারী কাবুল, লোঘার, পাকটিয়া ও নাঙ্গারহার প্রদেশে হামলা চালাচ্ছে। ন্যাটো বলছে, রাজধানী কাবুলে ৩টি এলাকায় ৭টি স্থানে হামলা হয়েছে। বৃটিশ দূতাবাসে প্রহরীদের দুটি অবস্থানে রকেট হামলা হয়েছে। আফগানিস্তানের শামশাদ টেলিভিশন বলেছে, এ ঘটনায় পূর্বাঞ্চলীয় পাকটিয়া প্রদেশে ২ জঙ্গি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৮ জন। কূটনীতিক পল্লী ওয়াজির আকবর খান ছেড়ে প্রাণের ভয়ে মানুষ এদিক-সেদিক পালাচ্ছিল। সেখানে বাজানো হয় সাইরেন। সন্ত্রাসীরা কাবুল হোটেল স্টার দখল করে সেখান থেকে পার্লামেন্টের দিকে গুলি ছুড়তে দেখা গেছে। হামলা হয়েছে জালালাবাদ বিমানবন্দরেও। জঙ্গিরা বিভিন্ন স্থানে দখল করে নিয়েছে কয়েকটি সরকারি ভবন। তালেবানরা একযোগে সরকারি ভবন, পশ্চিমা দূতাবাস, ন্যাটোর দপ্তরে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা পার্লামেন্টে প্রবেশের চেষ্টা করে। আফগান কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দূতাবাস এলাকা ও পার্লামেন্ট ভবনে বোমা হামলা ও গোলাগুলি হয়েছে। জঙ্গিদের হামলার মূল লক্ষ্য ছিল বৃটিশ, জার্মান দূতাবাস ও আফগানিস্তানে নিয়োজিত ন্যাটো বাহিনীর সদরদপ্তর। তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানান, দুটি প্রদেশে একযোগে হামলা শুরু করে তালেবান যোদ্ধারা। তারা কূটনীতিক পাড়ার বিভিন্ন দূতাবাস, ন্যাটোর দপ্তর এবং রাজধানীর পশ্চিমে পার্লামেন্ট ভবনে হামলা করেছে। কান্দাহারের পার্লামেন্ট সদস্য নাঈম হামিদজাই লালাই বলেন, আমি জনগণের প্রতিনিধি এবং তাদের রক্ষা করতে হবে। জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ সব হামলার দায় স্বীকার করে বলেন, এটা বসন্তকালীন হামলার শুরু। কয়েক মাস ধরে আমরা এ হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছি। কাবুলজুড়ে গতকাল শোনা গেছে একাধিক বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ। লোঘার এবং পাকটিকা প্রদেশে হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালেবান মুখপাত্র। তাছাড়া, জালালবাদেও আত্মঘাতী হামলার খবর পাওয়া গেছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, কাবুলে বৃটিশ কূটনীতিকদের ব্যবহৃত একটি বাড়িতেও রকেট চালিত গ্রেনেড হামলা হয়েছে। কাবুলে অবস্থিত বৃটিশ দূতাবাসের নিরাপত্তা টাওয়ারেও দুটি রকেট হামলা হয়েছে। এছাড়া জার্মানির দূতাবাসের দিক থেকেও ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। তবে এ বিষয়ে দূতাবাস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। হামলা হয়েছে মার্কিন দূতাবাসেও। তবে এতে দূতাবাসের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী হতাহত হয়নি বলে দূতবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। মোবাইল ফোন থেকে এক লিখিত বার্তায় মার্কিন দূতাবাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের চারপাশের এলাকায় হামলা চলছে। এ এলাকা এড়িয়ে চলুন। কোথাও আশ্রয় নিন। বিবৃতিতে জানানো হয়, দূতাবাস নিশ্চল হয়ে আছে এবং সব কর্মীদের নিরাপদে থাকার জন্য বলা হচ্ছে। আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পাকটিকায় পুলিশ প্রধানের কম্পাউন্ডের কাছে ৪ তলা ভবন জঙ্গিরা দখল করেছে বলে জানিয়েছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। ভবনটি জঙ্গি মুক্ত করতে হেলিকপ্টার গানশিপ হামলা শুরু করেছে আফগানিস্তানে নিয়োজিত ন্যাটো বাহিনী।
Sunday, April 15, 2012
কাবুলে পার্লামেন্ট ও দূতাবাসে তালেবানদের ভয়াবহ হামলা
Source: The Daily Manabzamin: জঙ্গি হামলায় প্রকম্পিত হয়েছে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। সেখানে তালেবান জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে আফগানিস্তানের পার্লামেন্ট ভবন, কয়েকটি দূতাবাস ও ন্যাটোর দপ্তরে। বিবিসি জানায়, এ ঘটনার পর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস। তবে এ হামলায় কেউ হতাহত হয়েছেন কিনা তা জানা যায় নি। অনলাইন আল জাজিরা জানায়, তালেবানরা এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা বলেছেÑ সংগঠিত হয়ে তারা এ হামলা চালায়। একযোগে কয়েক হাজার তালেবান আত্মঘাতী হামলাকারী কাবুল, লোঘার, পাকটিয়া ও নাঙ্গারহার প্রদেশে হামলা চালাচ্ছে। ন্যাটো বলছে, রাজধানী কাবুলে ৩টি এলাকায় ৭টি স্থানে হামলা হয়েছে। বৃটিশ দূতাবাসে প্রহরীদের দুটি অবস্থানে রকেট হামলা হয়েছে। আফগানিস্তানের শামশাদ টেলিভিশন বলেছে, এ ঘটনায় পূর্বাঞ্চলীয় পাকটিয়া প্রদেশে ২ জঙ্গি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৮ জন। কূটনীতিক পল্লী ওয়াজির আকবর খান ছেড়ে প্রাণের ভয়ে মানুষ এদিক-সেদিক পালাচ্ছিল। সেখানে বাজানো হয় সাইরেন। সন্ত্রাসীরা কাবুল হোটেল স্টার দখল করে সেখান থেকে পার্লামেন্টের দিকে গুলি ছুড়তে দেখা গেছে। হামলা হয়েছে জালালাবাদ বিমানবন্দরেও। জঙ্গিরা বিভিন্ন স্থানে দখল করে নিয়েছে কয়েকটি সরকারি ভবন। তালেবানরা একযোগে সরকারি ভবন, পশ্চিমা দূতাবাস, ন্যাটোর দপ্তরে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা পার্লামেন্টে প্রবেশের চেষ্টা করে। আফগান কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দূতাবাস এলাকা ও পার্লামেন্ট ভবনে বোমা হামলা ও গোলাগুলি হয়েছে। জঙ্গিদের হামলার মূল লক্ষ্য ছিল বৃটিশ, জার্মান দূতাবাস ও আফগানিস্তানে নিয়োজিত ন্যাটো বাহিনীর সদরদপ্তর। তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানান, দুটি প্রদেশে একযোগে হামলা শুরু করে তালেবান যোদ্ধারা। তারা কূটনীতিক পাড়ার বিভিন্ন দূতাবাস, ন্যাটোর দপ্তর এবং রাজধানীর পশ্চিমে পার্লামেন্ট ভবনে হামলা করেছে। কান্দাহারের পার্লামেন্ট সদস্য নাঈম হামিদজাই লালাই বলেন, আমি জনগণের প্রতিনিধি এবং তাদের রক্ষা করতে হবে। জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ সব হামলার দায় স্বীকার করে বলেন, এটা বসন্তকালীন হামলার শুরু। কয়েক মাস ধরে আমরা এ হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছি। কাবুলজুড়ে গতকাল শোনা গেছে একাধিক বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ। লোঘার এবং পাকটিকা প্রদেশে হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালেবান মুখপাত্র। তাছাড়া, জালালবাদেও আত্মঘাতী হামলার খবর পাওয়া গেছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, কাবুলে বৃটিশ কূটনীতিকদের ব্যবহৃত একটি বাড়িতেও রকেট চালিত গ্রেনেড হামলা হয়েছে। কাবুলে অবস্থিত বৃটিশ দূতাবাসের নিরাপত্তা টাওয়ারেও দুটি রকেট হামলা হয়েছে। এছাড়া জার্মানির দূতাবাসের দিক থেকেও ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। তবে এ বিষয়ে দূতাবাস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। হামলা হয়েছে মার্কিন দূতাবাসেও। তবে এতে দূতাবাসের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী হতাহত হয়নি বলে দূতবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। মোবাইল ফোন থেকে এক লিখিত বার্তায় মার্কিন দূতাবাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের চারপাশের এলাকায় হামলা চলছে। এ এলাকা এড়িয়ে চলুন। কোথাও আশ্রয় নিন। বিবৃতিতে জানানো হয়, দূতাবাস নিশ্চল হয়ে আছে এবং সব কর্মীদের নিরাপদে থাকার জন্য বলা হচ্ছে। আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পাকটিকায় পুলিশ প্রধানের কম্পাউন্ডের কাছে ৪ তলা ভবন জঙ্গিরা দখল করেছে বলে জানিয়েছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। ভবনটি জঙ্গি মুক্ত করতে হেলিকপ্টার গানশিপ হামলা শুরু করেছে আফগানিস্তানে নিয়োজিত ন্যাটো বাহিনী।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment