গোপন তথ্য ফাঁস

ফোন হ্যাকিং কেলেঙ্কারিতে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড
ক্যামেরনের নাম জড়ালেন নিউজ ইন্টারন্যাশনালের সাবেক প্রধান নির্বাহী
রেবেকা ব্রুকস। শুক্রবার রেবেকা বলেছেন, ফোন হ্যাকিংয়ের ঘটনায় অবৈধ
সাংবাদিকতা নিয়ে হৈচৈ পড়ার পর তিনি পদত্যাগ করলে ক্যামেরন তাকে কিছু সমর্থন
দেয়ার কথা বলেন। রেবেকা রুপার্ট মারডকের বৃটিশ নিউজ পেপার ডিভিশন নিউজ
ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী পদ থেকে গত জুলাইয়ে পদত্যাগ করেন। এরপর
কেলেঙ্কারির তদন্তে রেবেকার সঙ্গে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন,
সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ও তার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের
বিষয়টি বেরিয়ে আসে। ৪৩ বছর বয়সী রেবেকা, ফোন হ্যাকিং কেলেঙ্কারির ঘটনায়
দু’বার গ্রেপ্তার হয়েছেন। বর্তমানে জামিনে থাকা রেবেকা ভবিষ্যতে আবারও
বিচারের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে কোন প্রশ্নেরই সরাসরি জবাব দিচ্ছেন না। তিনি
বলেন, ক্যামেরন ছিল তার একজন বন্ধু ও প্রতিবেশী। রেবেকা বলেন, তিনি পদত্যাগ
করার পর অনেকগুলো ইনডাইরেক্ট মেসেজ রিসিভ করেন। সমর্থন দেয়ার কথা জানানো
ওসব মেসেজ ছিল রাজনীতিবিদ সহকারীদের পক্ষ থেকে। যার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীও
অন্তর্ভুক্ত। ১০ নং হোম অফিস ও ১১ নং ফরেইন অফিস থেকে ওসব মেসেজ আসে।
ক্যামেরনকে উদ্ধৃত করে মিস ব্রুকস ট্রেজারি চিফ জর্জ বর্ন ও অন্য ক্যাবিনেট
মেম্বারদের কথা উল্লেখ করেন। রেবেকা স্বীকার করেছেন যে, ক্যামেরন থেকে
তিনি একটি মেসেজ পেয়েছেন। যেখানে তাকে বলা হয়েছিল ‘মাথা উঁচু রাখ’। একই
সঙ্গে তিনি রাজনৈতিক চাপের কারণে প্রকাশ্যে খুব বেশি সমর্থন দিতে পারবেন না
বলে দুঃখ প্রকাশ করেন। মেসেজের যেসব শব্দের বিষয়ে রেবেকা বলেন, আমি মনে
করি না সেগুলো যথার্থ ব্যবহৃত শব্দ ছিল। রেবেকা বলেছেন, তার ও ক্যামেরনের
মধ্যে সপ্তাহে এক-দু’বার মেসেজ বিনিময় হতো ২০১০ সালের নির্বাচনের সময়গুলোতে
সেখানে ক্যামেরন তার সাইনে ডিসি লিখতেন। এলওএল (লেটস অব লাভ) লিখতেন। তবে
একে রেবেকা ‘লাফ আউট লাউড’ বলার পর এলওএল লিখেননি তিনি। মিস ব্রুকস নিশ্চিত
করে বলেন, তিনি ফোন হ্যাকিংয়ের বিষয়ে ক্যামেরনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
আলোচনা হয়েছে ২০০২ সালে নিখোঁজ হওয়া স্কুলগার্ল মিলি ডাউলারের ফোন
হ্যাকিংয়ের বিষয় প্রকাশ হওয়ার পর। তিনি বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি
ব্লেয়ারও এ বিষয়ে তাকে সমর্থন দেয়ার কথা বলেছেন। ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের
সময় ইরাকে বৃটেনের ভূমিকা তার পত্রিকা সমর্থন করায় তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা
বাড়ে। তবে হ্যাকিং-এর বিষয়ে টনি ব্লেয়ারের উত্তরসূরি গর্ডন ব্রাউন
অপ্রত্যক্ষভাবে নারাজ ছিলেন বলে জানান রেবেকা। এতে ২০১০-এর নির্বাচনে
ব্রাউনকে সমর্থন করেনি ডেইলি সান। ফলে তার পরাজয় হয়। এই বিষয়ের কারণেই মনে
হয় তার পদত্যাগের পর মেসেজ পাঠাননি ব্রাউন-কৌতুক করে বলেছেন রেবেকা।
রেবেকার এসব প্রমাণ সংস্কৃতি মন্ত্রী জেরেমি হান্টসের নিউজ কর্পোরেশন- এর
উপর একটি সিদ্ধান্ত নেয়া নিয়ে বিতর্ক উঠবে। সেটা হলো- নিউজ কর্পোরেশন
স্যাটেলাইট ব্রডকাস্টের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখবে কিনা। হান্ট বলেছেন, এ
বিষয়ে নিয়ন্ত্রণবাদের উপর দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া উচিত।
No comments:
Post a Comment