পুরুষ নন তিনি নারী
হাসপাতালে গিয়ে এক পুরুষ জানতে পারলেন তিনি আসলে পুরুষ
নন। তিনি নারী। তিনি হলেন কলোরেডোর ডেনভারের এক ফটোগ্রাফার স্টিভ
ক্রেসিলিয়াস। তিনি জন্মেছেন নারী ও পুরুষের বৈশিষ্ট্য নিয়ে। কিন্তু তার
মধ্যে যে নারীর বৈশিষ্ট্য আছে তা তিনি এতদিন জানতেন না। সমপ্রতি তার
কিডনিতে পাথর চিহ্নিত করতে একটি হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করানো হয়।
তাতেই ধরা পড়ে সব ঘটনা। এ অবস্থার পর তিনি তার নাম পরিবর্তন করে ফেলেছেন।
নতুন নাম রেখেছেন স্টিভি ক্রেসিলিয়াস। তার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তার
স্ত্রী ও ৬ সন্তান। সমপ্রতি ফক্স-৩১ টেলিভিশন চ্যানেলকে তিনি সাক্ষাৎকার
দেন। তাতে তিনি বলেন, আমি ছোট থাকতে মার কাপড় পরতাম। তার মেকআপ ব্যবহার
করতাম। কিন্তু তা খুব গোপনে। কাউকে সে কথা বলিনি। আমার কিডনিতে পাথর থাকার
পরীক্ষা করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেলাম। যে নার্স আমার আলট্রাসাউন্ড করছিলেন তিনি
হঠাৎ চিৎকার করে উঠলেন- হায় হায়! আপনি তো পুরুষ নন। আপনি নারী। আমার নিজের
দেহে যেসব প্রজননতন্ত্র রয়েছে আপনার দেহেও তো তা আছে। তবে তা রয়েছে শরীরের
ভিতরে। বাড়ি ফিরে এ কথা তিনি স্ত্রী দেবীকে বলতেই সব কিছু ব্যাখ্যা করতে
তার ওপর চাপ সৃষ্টি করলেন। পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হবে- এমন ভয়ে তিনি
বিষয়টি এতদিন গোপন রেখেছিলেন। বিষয়টি তার স্ত্রীর কাছে ব্যাখ্যা করার পর সব
মেনে নিলেন তিনি। ডেনভার পোস্ট খবর দিয়েছে, তার স্ত্রী দেবী এ খবর শোনার
পর খুশি হয়ে তার স্বামীর জন্য প্রথম অন্তর্বাসটি কিনতে তাকে সঙ্গে নিয়ে
যান। অবশ্য এ সময় দেবীর মধ্যে ভয় কাজ করছিল যে, তিনি বুঝি স্টিভকে আর
স্বামী হিসেবে পাশে পাবেন না। কিন্তু তারপরও স্বামীর পাশে দাঁড়ালেন দেবী।
তাকে বললেন, তুমি আমার কাছে যা ছিলে তাই থাকবে। তাদের দাম্পত্য জীবন ২৫
বছরেরও বেশি সময়ের। স্টিভ থেকে স্টিভি হয়ে যাওয়ার পরও তারা এখনও একরুমে ও
এক বিছানায় ঘুমান। স্টিভি বলেন, এখনও দেবী আমার হৃদয়জুড়ে আছে। এটাই তো
সত্যিকার ভালবাসা।
No comments:
Post a Comment