পাকিস্তান এক শিশুকে জীবন্ত কবর দিল পিতা

দুই বছর বয়সী এক শিশুকে জীবন্ত কবর দিয়েছে তারই পিতা।
এর কারণ জন্ম নেয়ার সময় ওই কন্যা শিশুটির মুখ ছিল বিকৃত। তারপর থেকে তা একই
আকারের ছিল। এতে বিরক্ত হয়ে তারই পিতা চান্দ খান তাকে জীবন্ত পুঁতে
দিয়েছে। এ ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে। এতে শুধু পাকিস্তান নয়।
সারাবিশ্বের আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল। এর দায়ে চান্দ খানকে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শিশুটিকে যখন জীবন্ত কবর দেয় চান্দ মিয়া তখন
সেখানে তার ভাই ও এক ছেলে উপস্থিত ছিল। রিপোর্টে বলাবলি হচ্ছে, শিশুটিকে
জীবন্ত কবর দেয়ার আগে অনুষ্ঠিত হয় জানাজা। চান্দ মিয়া তার সন্তান মারা
গেছেÑ এমন দাবি করে ওই জানাজা আয়োজন করে। এতে হাজির হন এক ইমাম। তিনিই
বাধিয়েছেন যত্ত বিপত্তি। কারণ, জানাজার সময় তিনি নাকি কান্নার শব্দ শুনতে
পেয়েছেন। এসব যখন ঘটে তখন শিশুটির মা ছিলেন হাসপাতালে। শিশুটি জন্ম নেয়ার
সময় লেবার রুমে উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার ওমর ফারুক। তিনি মিডিয়াকে বলেছেন,
শিশুটি জন্মের সময় বেশ স্বাস্থ্যবান ছিল। কিন্তু তার মুখ ছিল বিশাল। তাকে
দেখে স্বাভাবিক কোন মানুষের মতো মনে হতো না। তবে চান্দ খানের দাবি, তার
সন্তান জন্মের সময় মারা গিয়েছে। কিন্তু ইমাম মনে করেছেন, তিনি জানাজার সময়
তার কান্নার শব্দ শুনতে পেয়েছেন। চান্দ খানের এছাড়া রয়েছে ৫টি সন্তান। এর
মধ্যে তিনজন ছেলে এবং দু’জন মেয়ে। ওদিকে চান্দ খানের ছেলে শেহবাজ মনে করে
তার পিতা তার বোনকে জীবন্ত কবর দিয়ে ঠিক কাজই করেছেন।
Fuck That father
ReplyDelete