বাংলাদেশী যৌনকর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে শঙ্কা

বাংলাদেশী যৌনকর্মীদের মধ্যে স্বাস্থ্যবর্ধক স্টেরয়েড
ওরাডেক্সন ব্যবহারের ফলে তারা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
শরীরের জন্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিকর এ স্টেরয়েড ব্যবহারের ফলে যৌনকর্মীরা
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ত্বকে ফুস্কুরি ওঠা, মাথা ব্যথা এবং কিডনি বিকলের
মতো ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে পারে। এছাড়া অতিমাত্রায় এটি
ব্যবহারে তারা এর প্রতি আসক্তও হয়ে পড়ে। গত সপ্তাহে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে
যাত্রা করা বিপুল সংখ্যক স্টেরয়েড বহনকারী চার অস্ট্রেলিয়ানকে গ্রেপ্তারের
পরপরই বাংলাদেশী যৌনকর্মীদের এ স্টেরয়েড ব্যবহারে বাধ্য করার বিষয় নিয়ে
নতুন করে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা অ্যাকশন এইড বলেছে,
গবাদি পশু গরু মোটাতাজা করণের জন্য ব্যবহৃত স্টেরয়েড ওরাডেক্সন বাংলাদেশের
যৌনকর্মীদের মাঝে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। অ্যাকশন এইড অস্ট্রেলিয়ার
নির্বাহী পরিচালক আর্চি ল রেডিও অস্ট্রেলিয়ার কানেক্ট এশিয়া প্রোগ্রামকে
বলেছেন, পতিতালয়ের মালিকরা অনেক সময় যৌনকর্মীদের এ ধরনের স্টেরয়েড ব্যবহার
করতে বাধ্য করে। এর ফলে নারীদের ওজন বেড়ে যায়। তাদেরকে স্বাস্থ্যবান দেখায়।
এ ধরনের হৃষ্টপুষ্ট যৌনকর্মীদেরকেই পুরুষরা বেশি পছন্দ করে বলে তিনি
উল্লেখ করেন। এ স্টেরয়েড ব্যবহারের ফলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরীদেরকেও বেশি
বয়সী মনে হয়। তিনি বলেছেন, এ স্টেরয়েড ব্যবহারের কারণে ১২ বছরের কিশোরীকেও
১৫-১৬ বছরের তরুণী বলে মনে হয়। এর ফলে তারা পুরুষ খদ্দেরদের কাছে আকর্ষণীয়
হয়ে ওঠে। ২০১০ সালে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ এ ওষুধ ব্যবহারের ভয়াবহতা
সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং এতে আসক্ত নারীদের সহযোগিতা করতে একটি বিশেষ
প্রচার অভিযান শুরু করেছিল। আর্চি ল’ বলেছেন, এ ধরনের ওষুধ নিয়ন্ত্রণে
বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকেও তারা তাগিদ দিচ্ছেন। আর্চি ল’ আশা করছেন, গত সপ্তাহে
চার অস্ট্রেলিয়ান আটকের ঘটনা এ সমস্যাটিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে সহায়ক
হবে এবং কর্তৃপক্ষ এর বিরুদ্ধে তৎপর হতে উদ্বুদ্ধ হবেন। তিনি বলেছেন, এ
গ্রেপ্তার ঘটনা স্টেরয়েড কোথা থেকে আসে সে বিষয়ে প্রশ্নের উদ্রেক করেছে।
No comments:
Post a Comment