বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের পরবর্তী পরিস্থিতিতে সেই ইতিবাচক পদক্ষেপ হাওয়ায় উড়ে যায়। একদিকে সরকারের সমর্থন অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী যুব শক্তি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘাত শুরু হয় রাজপথে। এতে ভারত আওয়ামী লীগ শিবিরের দিকে মনোনিবেশ করে। আত্মজীবনী ‘দ্য আদার সাইড অব মাউন্টেইন’-এ এসব কথা লিখেছেন ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ। উল্লেখ্য, ভারতে কংগ্রেস সরকারের সময়ে ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ১৮ মাস বা দেড় বছর ক্ষমতায় ছিলেন সালমান খুরশিদ। এ সময় তিনি ও ইউপিএ সরকার কিভাবে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করেছিলেন তার একটি চিত্র ওই বইয়ে তুলে ধরেছেন। তখনকার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তাকে প্রথম যে কাজটি দিয়েছিলেন তা হলো নিকট প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের বিষয়ে নজর দেয়া। খুরশিদ তার বইয়ে পরিষ্কার করে বলেছেন যে, তাকে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কাজ করার জন্য বেশ বড় সুযোগ দেয়া হয়েছিল, বিশেষ করে যখন তা বাংলাদেশের মতো অতিনিকট প্রতিবেশীর বিষয় আসে। সালমান খুরশিদ লিখেছেন, একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ছিল স্বাধীনতা। প্রতিবেশী, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ, চীনের সঙ্গে সহস্রাব্দের সংলাপ, জাপানের সঙ্গে তালমিলিয়ে চলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে আগ্রহী ছিলেন।
ভারতে সাধারণ একটি ধারণা আছে যে, প্রথাগতভাবে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের কংগ্রেস পার্টির রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে তখন দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে সম্পর্ক সব সময়ই ঊর্ধ্বমুখী থাকে। বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ইন্দিরা গান্ধী যে ভূমিকা পালন করেছিলেন তার ফলেই বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সঙ্গে কংগ্রেস ফার্স্ট ফ্যামিলি গান্ধীদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠতা পেয়েছে। এর অর্থ এই নয় যে, যখন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে ক্ষমতার বাইরে থাকলে থাকলে, অর্থাৎ অন্য দল বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকলে ভারত তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখেনি।
সালমান খুরশিদ তার বইয়ে তুলে ধরেছেন, দু’দেশের নেতৃত্বের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা রেখেছে ব্যক্তিগত যোগাযোগ। তবে ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের চেয়ে কূটনীতিতে বড় হয়ে উঠেছে জাতীয় স্বার্থ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সালমান খুরশিদ যখন তার দায়িত্ব শুরু করেন তখন প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টিতে তিনি মনোনিবেশ করেছিলেন। তবে তার কাছে প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল ২০১২ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র চেয়ারপারসন বেগম কালেধা জিয়ার দিল্লি সফর। ওই বইয়ে তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে তিক্ত রাজনৈতিক সম্পর্ক থাকায় কিভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার বিষয়ে কতটা সুক্ষè ভাবে কাজ করেছিল। ওই বইয়ে তিনি লিখেছেন, আমি দেখতে পেলাম বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে কিভাবে কার্যত দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছিল। আমি আমার পূর্বসূরি এসএম কৃষ্ণার কাছ থেকে ক্ষমতা বুঝে নেয়ার মাত্র ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়া ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অতিথি হিসেবে ভারত সফর করছিলেন। অল্প সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমার উষ্ণ ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি হয়। আজমীর শরীফ জিয়ারতের পর নয়া দিল্লিতে প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে তার সাক্ষাতের ব্যবস্থা করতে সমর্থ হয়েছিলাম। বেগম জিয়া এই সাক্ষাত পেতে খুব উদগ্রিব ছিলেন। তবে এ সাক্ষাতের ফলে তার প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ হাসিনার সঙ্গে চমৎকার সম্পর্কে কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কিনা তা আমাদেরকে সতর্কতার সঙ্গে হিসাব করতে হয়েছে।
দিল্লিতে সাধারণভাবে রাজনৈতিক বলয়ে একটি ধারণা আছে যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জীর। সালমান খুরশিদ তার বইয়ে লিখেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুঝতে পারে যে, আমরা একটি বড় সাফল্য আনতে পেরেছি এবং খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বরফ গলাতে পেরেছি। আগের দিনগুলোতে তার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা ছিল হিম ঠা-া। নতুন সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত হই যখন আমি কয়েক মাস পরে বাংলাদেশ সফরে যাই এবং বেগম খালেদা জিয়া আমাকে উষ্ণ আতিথেয়তায় অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন করেন। তিনি আমাকে নৈশকালীন খাবারের আগে পেস্ট্রি ও অন্যান্য উপাদেয় খাবারে আপ্যায়িত করেন। এমনকি খালেদা জিয়া বিরলভাবে আমাকে বিদায় জানিয়েছিলেন এবং তার ড্রইং রুমের বাইরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এসব ইতিবাচক উদ্যোগ উদ্যোগ হাওয়ায় মিলিয়ে যায়, যখন বাংলাদেশ সরকার সমর্থক ও উচ্চাকাঙ্খী জাতীয়তাবাদী সমর্থক ও জামায়াতে ইসলামীর কট্টরপন্থিরা ঢাকার রাজপথে ভয়াবহ সংঘাতে লিপ্ত হয়। এ সময় আমরা কার্যত আওয়ামী লীগ শিবিরের দিকে ঝুঁকতে হয়। এ সময় ভারতকে একটি সিদ্ধান্তে যেতে হয়। এক্ষেত্রে অবস্থান নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হওয়া ও সেজন্য সুযোগ হারানোটা সত্যিই বিপজ্জনক ছিল। ২০১৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ জরুরি ভিত্তিতে চাইছিল তিস্তার পানি বন্টন ও ছিটমহল বিনিময় । তবে এক বছর পরে জুনে ছিটমহল বিনিময় হয়। তখন কংগ্রেস ক্ষমতার বাইরে। আর তিস্তার পানি বন্টন চুক্তিটি এখনও ঝুলে রয়েছে, যদিও ভারতের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে এ বিষয়ে ঐকমত্য রয়েছে।
ভারতে সাধারণ একটি ধারণা আছে যে, প্রথাগতভাবে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের কংগ্রেস পার্টির রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে তখন দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে সম্পর্ক সব সময়ই ঊর্ধ্বমুখী থাকে। বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ইন্দিরা গান্ধী যে ভূমিকা পালন করেছিলেন তার ফলেই বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সঙ্গে কংগ্রেস ফার্স্ট ফ্যামিলি গান্ধীদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠতা পেয়েছে। এর অর্থ এই নয় যে, যখন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে ক্ষমতার বাইরে থাকলে থাকলে, অর্থাৎ অন্য দল বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকলে ভারত তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখেনি।
সালমান খুরশিদ তার বইয়ে তুলে ধরেছেন, দু’দেশের নেতৃত্বের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা রেখেছে ব্যক্তিগত যোগাযোগ। তবে ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের চেয়ে কূটনীতিতে বড় হয়ে উঠেছে জাতীয় স্বার্থ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সালমান খুরশিদ যখন তার দায়িত্ব শুরু করেন তখন প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টিতে তিনি মনোনিবেশ করেছিলেন। তবে তার কাছে প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল ২০১২ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র চেয়ারপারসন বেগম কালেধা জিয়ার দিল্লি সফর। ওই বইয়ে তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে তিক্ত রাজনৈতিক সম্পর্ক থাকায় কিভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার বিষয়ে কতটা সুক্ষè ভাবে কাজ করেছিল। ওই বইয়ে তিনি লিখেছেন, আমি দেখতে পেলাম বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে কিভাবে কার্যত দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছিল। আমি আমার পূর্বসূরি এসএম কৃষ্ণার কাছ থেকে ক্ষমতা বুঝে নেয়ার মাত্র ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়া ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অতিথি হিসেবে ভারত সফর করছিলেন। অল্প সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমার উষ্ণ ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি হয়। আজমীর শরীফ জিয়ারতের পর নয়া দিল্লিতে প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে তার সাক্ষাতের ব্যবস্থা করতে সমর্থ হয়েছিলাম। বেগম জিয়া এই সাক্ষাত পেতে খুব উদগ্রিব ছিলেন। তবে এ সাক্ষাতের ফলে তার প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ হাসিনার সঙ্গে চমৎকার সম্পর্কে কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কিনা তা আমাদেরকে সতর্কতার সঙ্গে হিসাব করতে হয়েছে।
দিল্লিতে সাধারণভাবে রাজনৈতিক বলয়ে একটি ধারণা আছে যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জীর। সালমান খুরশিদ তার বইয়ে লিখেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুঝতে পারে যে, আমরা একটি বড় সাফল্য আনতে পেরেছি এবং খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বরফ গলাতে পেরেছি। আগের দিনগুলোতে তার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা ছিল হিম ঠা-া। নতুন সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত হই যখন আমি কয়েক মাস পরে বাংলাদেশ সফরে যাই এবং বেগম খালেদা জিয়া আমাকে উষ্ণ আতিথেয়তায় অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন করেন। তিনি আমাকে নৈশকালীন খাবারের আগে পেস্ট্রি ও অন্যান্য উপাদেয় খাবারে আপ্যায়িত করেন। এমনকি খালেদা জিয়া বিরলভাবে আমাকে বিদায় জানিয়েছিলেন এবং তার ড্রইং রুমের বাইরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এসব ইতিবাচক উদ্যোগ উদ্যোগ হাওয়ায় মিলিয়ে যায়, যখন বাংলাদেশ সরকার সমর্থক ও উচ্চাকাঙ্খী জাতীয়তাবাদী সমর্থক ও জামায়াতে ইসলামীর কট্টরপন্থিরা ঢাকার রাজপথে ভয়াবহ সংঘাতে লিপ্ত হয়। এ সময় আমরা কার্যত আওয়ামী লীগ শিবিরের দিকে ঝুঁকতে হয়। এ সময় ভারতকে একটি সিদ্ধান্তে যেতে হয়। এক্ষেত্রে অবস্থান নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হওয়া ও সেজন্য সুযোগ হারানোটা সত্যিই বিপজ্জনক ছিল। ২০১৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ জরুরি ভিত্তিতে চাইছিল তিস্তার পানি বন্টন ও ছিটমহল বিনিময় । তবে এক বছর পরে জুনে ছিটমহল বিনিময় হয়। তখন কংগ্রেস ক্ষমতার বাইরে। আর তিস্তার পানি বন্টন চুক্তিটি এখনও ঝুলে রয়েছে, যদিও ভারতের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে এ বিষয়ে ঐকমত্য রয়েছে।
No comments:
Post a Comment