Monday, March 19, 2012

মানিক সরকারকে সম্মাননা দেয়ার সিদ্ধান্তে ত্রিপুরায় বিক্ষোভ


Source: The Daily Manabzamin, 20th March, 2012
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেসব বিদেশীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে তাদের ১২৯ জনকে সম্মাননা জানাবে বাংলাদেশ। তাদের মধ্যে ৪৭ জনই ভারতীয়। এর মধ্যে রয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। কিন্তু তাকে ওই সম্মাননা দেয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ত্রিপুরায় বিক্ষোভ হয়েছে। মানিক সরকারকে ওই সম্মাননা দেয়ার বিরোধিতা করেছে সেখানকার বিরোধী দল কংগ্রেস ও সুশীল সমাজ। তারা বলেছে, তাকে ওই সম্মাননা দেয়া হলে তা হবে ইতিহাসের বিরাট রকম বিকৃতি। এর কারণ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুখ্যমন্ত্রীর সিপিআই (এম) বা মানিক সরকার কারও কোন ইতিবাচক ভূমিকা ছিল না, বরং বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করছিল যে চীন তিনি ছিলেন সেই আদর্শের। এমন কথা বলেছেন, বিরোধী দলের নেতা রতন লাল নাথ। ১২শে মার্চ এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য এশিয়ান এজ। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৪০ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের এক বিশেষ অনুষ্ঠান হবে ঢাকায় আগামী ২৭শে মার্চ। ওই অনুষ্ঠানেই বিদেশী বিশিষ্ট জনদের ওই সম্মাননা জানানো হবে। কিন্তু মানিক সরকারকে ওই সম্মাননা দেয়ার প্রতিবাদে আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ ভিসা অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেছে নাগরিক মঞ্চ-এর ব্যানারে বেশ কয়েক শত নেতাকর্মী। তারা বাংলাদেশের ভিসা সংক্রান্ত ফার্স্ট সেক্রেটাি কে একটি স্মারকলিপি দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশ তাতে বাধা দেয়। ওদিকে ত্রিপুরা সরকার এক বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছেÑ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য কাকে কাকে সম্মাননা দেয়া হবে এটা একান্তই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। ওদিকে বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের দল সিপিআই (এম) একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, স্টুডেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার ত্রিপুরা শাখা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ওই সময় ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মানিক সরকার। ওই বিবৃতিতে প্রশ্ন রাখা হয়, ওই সময় কংগ্রেসের কোন ভূমিকা ছিল কিনা তা নিয়ে। দ্য এশিয়ান এজ আরও জানায়, বাংলাদেশ যেসব ভারতীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মাননা জানাবে তার মধ্যে অন্যতম মানিক সরকার, পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও সিপিআই (এম) নেতা জ্যোতি বসু, ত্রিপুরার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী দশারথ দেব, ত্রিপুরার সাবেক মহারাণী বিভু কুমারী দেবী, ত্রিপুরার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী সচীন্দ্র লাল সিংহা, সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়, রাজেশ্বর রাও, পিএ সাংমা, বিচারপতি সাদাত আবদুল মাসুদ, পণ্ডিত রবি শঙ্কর, ওস্তাদ আলী আকবর খান, মাদার তেরেসা, ওয়াহিদা রেহমান, সুনীল দত্ত, নার্গিস দত্ত, জগজীবন রাম, ভুপেশ গুপ্ত, কাইফি আজমী, ভুপেন হাজারিকা, ফিল্ড মার্শাল এসএএম মানেকশ, লেফটেনেন্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা, লেফটেনেন্ট জেনারেল জ্যাকব, ল্যান্স নায়েক আলবার্তো এক্কা, লতা মুঙ্গেশকর, ডিপি ধর, জেনারেল উবান, পিএন হাকসার, ড. করণ সিং, সরদার সরণ সিং, শরত চন্দ্র সিংহা প্রমুখ।  

No comments:

Post a Comment