মুম্বইয়ের পতিতালয় থেকে
উদ্ধার করা
বেশ কিছু
বাংলাদেশী যুবতী এখন দেশে ফেরার
প্রহর গুনছে।
তাদেরকে যত
তাড়াতাড়ি সম্ভব
বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু
হয়েছে। এর
মধ্যে তাদের
২৭ জনকে
বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই
আরও ৩৫
জনকে ফেরত
পাঠানো হবে।
২৮শে মার্চ
ভারতের একটি
অনলাইন ট্যাবলয়েড
পত্রিকা এ
খবর দিয়েছে।
এতে বলা
হয়েছে, বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক পাচকের
এক মেয়েকে
সম্প্রতি উদ্ধার
করা হয়
পতিতাবৃত্তির চক্র থেকে। তাকে দেশে
ফেরত পাঠানো
হয়েছে। সেই
পথ ধরে
অন্যদের দেশে
ফেরত পাঠানোর
পথ সুগম
হয়েছে। ২৯শে
মার্চ দৈনিক
মানবজমিনে এ নিয়ে প্রকাশিত রিপোর্টে
বলা হয়েছে,
গত ৪
বছরে রাজ্যের
বিভিন্ন স্থানে
অভিযান চালিয়ে
দেহব্যবসায় জড়িত থাকা ১২৫জন বাংলাদেশী
যুবতীকে উদ্ধার
করা হয়েছে।
গত বছর
নভেম্বরে উদ্ধার
করা হয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক পাচকের
এক মেয়ে
খুশী (পরিবর্তিত
নাম)কে।
তাকে উদ্ধার
করে মুম্বই
ভিত্তিক এনজিও
রেসক্যু ফাউন্ডেশন।
কর্তৃপক্ষ খুশীকে দেশে ফেরত পাঠানোর
জন্য ওই
এনজিও’র
ওপর চাপ
সৃষ্টি করে।
কিন্তু তারা
সেই চাপ
উপেক্ষা করে
২১ বছর
বয়সী খুশীকে
দেশে ফেরত
পাঠাতে অস্বীকৃতি
জানায়। এর
কারণ, তারা
দাবি করে
উদ্ধার করা
মোট ১২৫
যুবতী, যারা
ওই এনজিও’র তত্ত্বাধানে
রয়েছে তাদের
সবাইকে দেশে
ফেরত পাঠানোর
সুযোগ দিতে
হবে। তারা
৪ বছর
ধরে দেশে
ফেরত যাওয়ার
জন্য অপেক্ষা
করছে। ওই
এনজিও থেকে
দাবি তোলা
হয়, পাচার
হয়ে মুম্বই
যাওয়া সব
বাংলাদেশী যুবতী, যাদের উদ্ধার করা
হয়েছে তাদের
সবাইকে দেশে
ফেরত পাঠানোর
অনুমতি দেয়া
হলেই খুশীকে
ফেরত পাঠানো
হবে। এক
পর্যায়ে নভেম্বরে
মাজগাওয়ের বিশেষ আদালত খুশীকে বাংলাদেশ
সরকারের হাতে
তুলে দেয়ার
নির্দেশ দেয়।
এ রায়
পাওয়ার পর
ওই এনজিও
তাদের যুক্তি
তুলে ধরে।
এরপর ডিসেম্বরে
বাংলাদেশ কোমল
ভাব দেখায়
এবং খুশীর
সঙ্গে ২৬
যুবতীকে দেশে
ফেরত পাঠানোর
বিষয়ে সম্মতি
দেয়। বাংলাদেশ
প্রতিশ্রুতি দেয়, বাকি যুবতীদেরও ফিরিয়ে
নেবে। এ
বিষয়ে বাংলাদেশ
হাই কমিশনের
ওপর প্রচণ্ড
চাপ দেয়া
হয়। এর
ফলেই বাংলাদেশ
অতটা নমনীয়
হয়। ডিসেম্বরে
খুশীর সঙ্গে
বাংলাদেশ অন্য
২৬ যুবতীকে
গ্রহণ করার
অনুরোধ মেনে
নেয়। রেসক্যু
ফাউন্ডেশনের ত্রিবেণী আচার্য্য বলেন, তবে
এক্ষেত্রে ওইসব যুবতীর কারো কাছে
নাগরিকত্বের কোন প্রমাণ ছিল না।
এর এক
মাসেরও কম
সময়ের মধ্যে
ওই এনজিওকে
বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ
অনুরোধ করে
বাকি ৩৫
যুবতীর তথ্যপ্রমাণ
যোগাড় করতে।
ত্রিবেণী আচার্য্য
বলেন, কিন্তু
এসব যুবতী
ভারতে প্রবেশ
করেছেন অবৈধভাবে।
তাদের কাছে
জাতীয়তার কোন
প্রমাণপত্র নেই। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ
হাই কমিশন
এসব যুবতীকে
গ্রহণ করতে
অস্বীকৃতি জানায়। কিন্তু এখন সব
মিটে যাওয়ার
পর তাদেরকে
বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তাদেরকে
বাংলাদেশে খুব তাড়াতাড়িই ফেরত পাঠানো
হবে। তিনি
বলেন, ওই
সব যুবতী
এখনএদশে ফেরত
যাওয়ার জন্য
অপেক্ষার প্রহর
গুনছেন। তাদের
মধ্যে এমন
কিছু যুবতী
আছেন যাদের
অবশ্যই কিছু
সার্জারির প্রয়োজন হবে। যত তাড়াতাড়ি
তা সম্পন্ন
হবে তত
তাড়াতাড়িই তাদের দেশে ফেরত পাঠানো
হবে।
No comments:
Post a Comment