পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা
আইএসআই পাকিস্তানের
ভিতরেই রাজনীতিবিদদের
১৯৯০-এর
দশকে অর্থ
দিয়েছে। এ
বিষয়ে তদন্ত
রিপোর্ট দিতে
দুটি কমিশন
করা হয়েছিল।
কমিশন তার
রিপোর্ট জমা
দিয়েছে। কিন্তু
সেই তদন্ত
রিপোর্ট কোথায়
রয়েছে সে
সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ
কিছুই বলতে
পারছে না।
শুক্রবার পাকিস্তানের
সুপ্রিম কোর্টকে
এ সব
কথা অবহিত
করেন এটর্নি
জেনারেল আনওয়ারুল
হক। এ
খবর দিয়েছে
অনলাইন জি
নিউজ। এ
বিষয়ক রিপোর্ট
১লা এপ্রিলে
ছাপা হয়
দৈনিক মানবজমিনে।
এতে বলা
হয়, তিন
বিচারকের সমন্বয়ে
গঠিত একটি
বেঞ্চের প্রধান
করা হয়েছে
প্রধান বিচারপতি
ইফতিখার মোহাম্মদ
চৌধুরীকে। তার সভাপতিত্বে শুক্রবার রাজনীতিবিদদের
অর্থ সহায়তা
দেয়ার বিষয়টির
শুনানি শুরু
হয়। এ
বিষয়ে বিমান
বাহিনীর সাবেক
প্রধান আসগার
খান আদালতে
অভিযোগ করেছিলেন।
সেই মামলার
শুনানিতে এটর্নি
জেনারেল আনওয়ারুল
হক বলেন,
আইএসআইয়ের অর্থ বিতরণের তদন্তে যে
দুটি কমিশন
গঠন করা
হয়েছিল তাদের
দেয়া রিপোর্ট
ইন মন্ত্রণালয়ে
পাওয়া যাচ্ছে
না। এ
সময় প্রধান
বিচারপতি বলেন,
ওই রিপোর্ট
দুটি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ২৩শে এপ্রিল এ
মামলার পরবর্তী
শুনানি। প্রধান
বিচারপতি ওইদিন
ওই রিপোর্ট
দুটি আদালতে
জমা দেয়ার
নির্দেশ দেন।
সম্প্রতি পত্রপত্রিকায়
খবর ছাপা
হয়েছে যে,
২০০৯ সালে
পাঞ্জাবে সরকার
পরিবর্তনে গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই গোপনে
২৭ কোটি
রুপি দিয়েছিল
রাজনীতিবিদদের। ১৯৯০ সালের সাধারণ নির্বাচনে
যাতে পাকিস্তান
পিপলস পার্টিকে
ক্ষমতা থেকে
দূরে রাখা
যায় সেজহন্য
আইএসআই রাজনীতিবিদদের
মধ্যে ৪০
কোটি রুপি
বিতরণ করেছিল।
এর মধ্যে
ছিল ইসলামী
জামুরি ইত্তেহাদ।
আদালতে শুনানির
সময় ব্যক্তিগতভাবে
সেখানে উপস্থিত
ছিলেন গোয়েন্দা
সংস্থার প্রধান
আফতাব সুলতান।
এ বিষয়ে
সুনির্দিষ্ট তথ্য অনুসন্ধানের জন্য তিনি
আদালতের কাছে
সময় প্রার্থনা
করেন। তিনি
আদালতকে বলেন,
যে গোপন
তহবিল থেকে
ওই অর্থ
দেয়া হয়েছিল
তা রেজিস্ট্রারে
লিপিবদ্ধ করা
হয়েছিল তা
আদালতে হাজির
করা যাচ্ছে
না। এছাড়া
তিনি আরও
বলেন, কোথায়
কোন কোন
খাতে অর্থ
খরচ করা
হয়েছে তা
রেজিস্ট্রারে রেকর্ড করা হয়নি। এ
সময় প্রধান
বিচারপতি বলেন,
আইএসআইকে যে
তহবিল দেয়া
হয় তা
জাতির স্বার্থে
ব্যবহারের জন্য। গণতন্ত্রকে দুর্বল করতে
নয়। তিনি
গোয়েন্দা সংস্থার
প্রধানকে ২০০৯
সালের হিসাব
ভালভাবে পর্যবেক্ষণ
করে আদালতকে
জানাতে বলেছেন
যে, আসলেই
মিডিয়ায় যে
রিপোর্ট ছাপা
হয়েছে তা
ঠিক কিনা।
No comments:
Post a Comment