‘চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা’। জীবনানন্দ দাসের সেই ‘বনলতা সেন’ চিরসবুজ হয়ে আজও গেঁথে আছে বাঙালির হৃদয়ে। চুল নিয়ে নানা কাব্য রচিত হয়েছে নানা সময়ে। সেই দীঘল-কালো কেশকে পরিচর্যার কোমল স্পর্শে নিজের সমান করে তুলেছে এ যুগেরই এক বনলতা সেন। নাম তার নাতাশা মোরেস। ব্রাজিলের একটি ছোট শহর রিও’র বাসিন্দা। বয়স মাত্র ১২ বছর। উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। জন্মের পর থেকে একটিবারের জন্যও নরসুন্দরের কাঁচি তার চুল স্পর্শ করতে পারেনি। পরম যত্নে আগলে রাখা সেই চুলের দৈর্ঘ্য এখন ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। নিজের উচ্চতার চেয়ে মাত্র ১ ইঞ্চি কম।
ইউরোপীয় রূপকথার বাস্তব এই ‘রেপানজেল’ নতুন শিল্প সৃষ্টি করেছে তার চুলের মাধ্যমে। শিল্পীর ক্যানভাসের নতুন মোনালিসা হয়ে উঠতে পারে সে- তার চুলের জন্য। এত লম্বা চুলের পরিচর্যাও চাট্টিখানি কথা নয়। তাকে পা ফেলতে হয় মেপে মেপে, যাতে পায়ের তলায় পড়ে চুল ছিঁড়ে না যায়।
আর চিরুনি দিয়ে প্রতিদিন চুল আঁচড়াতে নাতাশাকে পাক্কা দেড় ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হয়। প্রতি বছর ৪০০ পাউন্ড খরচ হয় কেবল শ্যাম্পুর পেছনে। তবে, ভালবাসার চুলকে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিতেই হচ্ছে তাকে। কারণ, এত ঝক্কি সামলানো সত্যিই কঠিন। স্বাভাবিক অনেক কাজই করতে পারছে না সে।
চুল বিক্রি করে সাড়ে ৩ হাজার পাউন্ড পাওয়ার আশা করছে নাতাশা। তার মা জানান, এ মুহূর্তে আমার মেয়েকে বন্দির মতো জীবন কাটাতে হচ্ছে। এদিকে জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা চুল কাটার কথা ভেবে বেশ কষ্ট পাচ্ছে নাতাশা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য সান।
No comments:
Post a Comment