রিচার্ড নোরিস (৩৭)
১৫টি বছর
মুখোশ পরে
বাইরে বেরুতেন,
তাও রাতে।
তাকে দেখলে
যেকেউ ভয়
পেয়ে যেতো।
এর কারণ,
নিজের বন্দুক
নিয়ে পরীক্ষা
করার সময়
অকস্মাৎ
গুলি বের
হয়ে তার
নাক, ঠোঁট
বিদীর্ণ হয়ে
যায়। মুখের
নাড়াচাড়া বন্ধ
হয়ে যায়।
কোনমতে বেঁচে
গেলেও তিনি
কোন কিছুর
গন্ধ বা
ঘ্রাণ পেতেন
না এতদিন।
সেই নোরিস
এখন মুখোশের
আড়াল থেকে
বেরিয়ে আসছেন।
ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টারে
তার মুখ
প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তিনি নতুন
মুখ, দাঁত,
জিহ্বা ও
চোয়াল পেয়েছেন।
চিকিৎসকরা
বলছেন, এর
আগে মুখ
প্রতিস্থাপন করা হলেও এবারকার মতো
তার মুখের
মতো এত
বিশাল আকারের
প্রতিস্থাপন করা হয়নি এযাবত। গত
সপ্তাহে তার
মুখে টানা
৩৬ ঘন্টা
সার্জারি করে
মুখ প্রতিস্থাপন
করা হয়।
সেই মুখে
তিনি এখন
নতুন চেহারা
পেয়েছেন। এরই
মধ্যে দাঁতে
ব্রাশ করা
শুরু করেছেন।
প্রায় দিনই
করেন দাড়ি
শেভ। তার
নাকে ঘ্রাণ
ধরা পড়ছে।
অথচ এর
আগে গত
১৫টি বছর
তিনি ছিলেন
এক রকমের
আতঙ্ক। তার
চেহারা বিকৃত
হয়ে গিয়েছিল।
যে কেউ
তাকে দেখলে
ভয় পেয়ে
যেত। আর
এখন তিনি
ঝকঝকে এক
যুবক। তার
মুখ প্রতিস্থাপন
করেছেন যেসব
সার্জন তার
প্রধান ড.
এডুয়ার্ডো রড্রিগুয়েজ। তিনি বলেন, এখন
তাকে একজন
প্রকৃত মানুষের
মতো দেখাবে।
কেউ তাকে
দেখে আর
ভয় পাবে
না। তিনি
এ অপারেশনকে
বিশ্বের সবচেয়ে
বড় মুখপ্রতিস্থাপন
বলে মন্তব্য
করেন। ১৯৯৭
সালে রিচার্ড
লি নোরিস
তার নিজের
বন্দুক পরীক্ষা
করার সময়
গুলি ছুটে
গিয়ে তার
চেহারা পুরো
বিধ্বস্ত হয়ে
যায়। তাকে
বার বার
জীবন রক্ষাকারী
ব্যবস্থায় বাঁচিয়ে রাখা হয়। বার
বার সার্জারি
করে তার
মুখ মোটামুটি
আকৃতিতে ধরে
রাখা হয।
তবে শেষ
বার যে
সার্জারি হয়েছে
মেরিল্যান্ডে তার মতো সফল হয়
নি কখনও।
২৮শে মার্চ
তার সার্জারির
৬ দিন
পাড় হয়েছে।
এখন তিনি
তার জিহ্বা
নাড়াতে পারেন।
চোখ খুলতে
ও বন্ধ
করতে পারেন।
প্রত্যাশার চেয়ে অনেক তাড়াতাড়িই তিনি
সুস্থ হয়ে
উঠছেন।
No comments:
Post a Comment