Sunday, April 15, 2012

ব্যাঙ্গচিত্র আঁকায় বিশ্বদ্যিালয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের মামলা মমতার সমালোচনায় মুখর ভারতীয়রা


পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ব্যাঙ্গচিত্র নিয়ে ভারতে তোলপাড় চলছে। তার একটি ব্যাঙ্গচিত্র এঁকেছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক অম্বিকা মহাপাত্র। তা তিনি গত শুক্রবার পোস্ট করেন তার ফেসবুকে। বিষয়টি জানাজানি হলে মমতার সমর্থকরা ওই অধ্যাপককে মারধর করে পুলিশ সোপর্দ করে। পরে তার বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের মামলা করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তাদের মুখ্যমন্ত্রীর এই অসহিঞ্চু আচরণে খুবই ব্যথিত হয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় তারা টুইটার, ফেসবুক এবং ব্লগে নিন্দা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় ফেটে পড়েছে। ঘটনায় রেলওয়ের সাবেক মন্ত্রী দিনেশ ত্রিবেদী পর্যন্ত মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, কার্টুন আঁকা একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। কার্টুন তো আপনার ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতে পারে না। যে জনগণ আপনার ভাবমূর্তির ধারক-বাহক তারাই তা ধ্বংস করে দিতে পারে। রেলের ভাড়া বাড়ানো নিয়ে বিতর্কে এই দিনেশ ত্রিবেদী তার পদ হারান। ওদিকে ওই ঘটনার পর পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতজুড়ে সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীরা মমতার বেরসিক আচরণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। একটি ব্যাঙ্গচিত্রকে সমর্থকরা যেভাবে নিয়েছে এবং সহিংস প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তা থামাতে ব্যর্থ হওয়ায় মমতার ওপর যারপর নাই ক্ষুব্ধ মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী সচেতন মানুষ। ওদিকে বার্তা সংস্থা বার্তা ২৪ জানায়, ইন্টারনেটে এই ক্ষোভ এখন রীতিমতো উপহাস, গা জ্বালাকর এবং ওয়েবসাইট ভাসিয়ে দেয়ার মতো অবস্থায় পৌঁছেছে। শনিবার ফেসবুকেউই হেট মমতা ব্যানার্জিনামে কমপক্ষে চারটি পাতা খুলেছিল নেটিজেনরা। এতে একজন লিখেছে, মমতা ব্যানর্জিকে হটাও, মা, মাটি মানুষকে বাঁচাও। ওদিকে এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনেকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্টে আবেদন করেপ্রণ। এর পক্ষে অনলাইনে স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে। কলকাতা কলেজের একজন লেকচারার ছদ্মনামে মমতার সমালোচনা করেছেন এবং তার কথাবার্তা সিপিএম ৩৪ বছরেরঅপশাসনেরচেয়ে খারাপ বলে উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে গত শনিবার বাংলা নববর্ষের দিন কলকাতাজুড়ে একটি সতর্কতামূলক ক্ষুদে বার্তা সবার মোবাইল ফোনে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, ‘সাবধান, সাবধান, ১৪১৯’- শুভেচ্ছা জানালেও ধরে নেবে পুলিশ।তার মানে হলো- এই নববর্ষে শুভেচ্ছা জানালেও পুলিশ ধরে নিয়ে যেতে পারে। সুতরাং, পরিস্থিতি যে পর্যায়ে গেছে তাতে মনে হচ্ছে, মমতার বাংলা এখন অসম্ভব রকম ক্রুদ্ধ।

No comments:

Post a Comment