প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মিশরে
১০ প্রার্থীকে
অযোগ্য ঘোষণা
করা হয়েছে।
শনিবার দেশটির
নির্বাচন কমিশন
এ ঘোষণা
দেয়। এর
আওতায় রয়েছেন
প্রভাবশালী মুসলিম ব্রাদারহুডের খাইরাত আল
সাতের ও
সাবেক প্রেসিডেন্ট
হোসনি মুবারকের
গোয়েন্দা প্রধান
ওমর সুলাইমান।
এ ঘটনায়
মিশরের রাজনীতিতে
নতুন করে
বিতর্ক দেখা
দিয়েছে। অনলাইন
আল জাজিরা
এ খবর
দিয়ে আরও
জানায়, নির্বাচন
কমিশনের প্রধান
ফারুক সুলতান
বলেন- অযোগ্য
প্রার্থীর মধ্যে ওমর সুলাইমান, সাতেরের
সঙ্গে কট্টরপন্থী
আইনজীবী হাজেম
আবু ইসমাইলও
রয়েছেন। কিন্তু
কি কারণে
তাদেরকে অযোগ্য
করা হয়েছে
সে প্রসঙ্গে
কোন মন্তব্য
করতে অস্বীকৃতি
জানিয়েছেন তিনি। তবে নির্বাচন কমিশনের
কমকর্তা তারেক
আবুল আত্তা
বলেছেন, আইন
অনুযায়ী ১৫টি
প্রদেশ থেকে
অনুমোদন নিতে
হয়। সুলাইমান
সেই অনুমোদন
নিতে ব্যর্থ
হয়েছেন। এ
জন্য তাকে
অযোগ্য ঘোষণা
করা হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন
কমিশনার বলেছেন,
নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী বাদ পড়া
প্রার্থীরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কারণ
জানতে চেয়ে
আপিল করতে
পারবেন। বাদ
পড়া প্রার্থীদের
মধ্যে মুসলিম
ব্রাদারহুডের খাইরাত আল সাতের গত
বছর মার্চ
মাসে জেল
থেকে ছাড়া
পেয়েছেন। নির্বাচন
কমিশন কর্মকর্তা
তারেক আবুল
আত্তা বলেন,
কোন ব্যক্তি
জেল থেকে
মুক্ত হওয়ার
৬ বছর
পরে নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।
অন্যদিকে আবু
ইসমাইল নামের
এক প্রার্থীর
মা যুক্তরাষ্ট্রের
নাগরিক। মিশরের
নিয়াম অনুযায়ী
প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের বংশগত ও জন্মগতভাবে
মিশরীয় হতে
হবে। হোসনি
মুবারক ক্ষমতাচ্যুত
হওয়ার পর
মিশর শাসন
করছে সামরিক
কাউন্সিল। ওদিকে মনোনয়ন পত্র জমা
দেয়ার পরপরই
আবু ইসমাইলের
সমর্থকরা হুমকি
দিয়েছেন, যদি
কোনভাবে তার
প্রার্থিতা বাতিল হয় তবে তারা
আন্দোলনে নামবেন।
এর আগে
শুক্রবার তার
সমর্থকরা নির্বাচন
কমিশন ঘেরাও
করে বিক্ষোভ
করেন। আবু
ইসমাইলের বাদ
পড়ার বিষয়ে
তার আইনজীবী
জানান, এর
ফলাফল ভাল
হবে না।
ওদিকে খাইরাত
আল সাতের
বাদ পড়তে
পারেন এমন
ধারণা আগেই
থেকেই মুসলিম
ব্রাদারহুড করেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার
বিকল্প হিসেবে
দলপ্রধান মোহাম্মদ
মরসিকে মনোনয়ন
দিয়েছিল।
No comments:
Post a Comment