ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্ট গত জানুয়ারিতে দিল্লি অভিমুখে দুটি সেনা ইউনিটের অগ্রসরের ব্যাপারে কোন ধরনের সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকার জন্য সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে। সমপ্রতি ভারতের সেনাবাহিনীর দু’টি ইউনিটের অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা চালানো খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ভারতে তোলপাড় শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে সব ধরনের গণমাধ্যমে এ সম্পর্কিত খবর প্রকাশ ও প্রচারের ওপর আদালত এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মঙ্গলবার এলাহাবাদ হাইকোর্টে বিচারপতি উমা নাথ সিং এবং বিচারপতি ভি কে দিক্ষিতের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও তথ্য এবং সমপ্রচার মন্ত্রণালয়কে এ আদেশ বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। উত্তর প্রদেশ সরকারকেও আদালত একই ধরনের নির্দেশ দিয়েছে। সমাজ কর্মী নূতন ঠাকুরের দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আবেদনকারীর মামলার শুনানি এবং ভারতের অ্যাসিসটেন্ট সলিসিটর জেনারেল আইএইচ ফারুকির বক্তব্য শুনে আদালত মনে করেছে দেশের নিরাপত্তার বিনিময়ে সেনাসদস্যদের চলাচলের মতো স্পর্শকাতর একটি বিষয় জনসাধারণের আলোচনার বিষয় হতে দেয়া উচিত নয়। পিটিশনার নূতন সরকারের মতো বিচারকদ্বয়ও মনে করছেন, এ ব্যাপারে গণমাধ্যমের সংবাদ প্রকাশ অব্যাহত রাখার অনুমতি দিলে সেটা দেশের নিরাপত্তাকে মারাত্মক বিপদের সম্মুখীন করতে পারে। নূতন সরকার দিল্লিতে সেনা চলাচলের বিষয়টির সত্যতা জানার জন্য একটি বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করতে প্রধানমন্ত্রীর অফিসকে নির্দেশ দিতে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
নতুন সরকার বলেন, অন্যান্য ভারতীয় নাগরিকের মতো আমিও এতে বেশ বিচলিত। তাই আমি এ ঘটনার মূলে যেতে চেয়েছি। যাতে আমি জানতে পারি, একটি আন্দোলনকে ‘সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা’ বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ ঘটনা যদি মিথ্যে প্রমাণিত হয় তাহলে এ ধরনের অপপ্রচার ও তথ্য প্রকাশের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেয়া উচিত। গত ৪ঠা এপ্রিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় প্রকাশিত এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, দিল্লির হিসার ও আগ্রায় দু’টি সেনা ইউনিট গত ১৬ই জানুয়ারি সরকারকে না জানিয়েই রাজধানী নয়াদিল্লির দিকে অগ্রসর হয়। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এটি নিয়মিত মহড়ার অংশ বলে জানানো হয়। সরকারও এ ধরনের খবর ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে।
No comments:
Post a Comment