Monday, April 16, 2012

যুদ্ধাপরাধীর বিচার আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে: মজিনা



Source: http://www.mzamin.com/index.php?option=com_content&view=article&id=40670:2012-04-15-16-14-07&catid=49:2010-08-31-09-43-32&Itemid=83
 মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীর বিচার আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে। এ বিচারে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইন-কানুনের সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। ইতিমধ্যে তিন বার আমেরিকান টিম বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশ সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেছে। গতকাল কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি পরিদর্শন শেষে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে দেশে আগামীতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। সকাল ৯টায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বহনকারী সি প্লেন চিলমারী (জোড়গাছ) নদী বন্দরে অবতরণ করে। কুড়িগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ময়নুল হক আনসারী, চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান, উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার (বীরবিক্রম), বিশ্বখাদ্য কর্মসূচি প্রকল্পের প্রোগ্রাম এ্যাসোসিয়েট প্রণব কুমার দে, আরডিআরএস বাংলাদেশ-এর পরিচালক মো. আজিজুল করিম, আরডিআরএস বাংলাদেশের বিশ্বখাদ্য কর্মসূচি প্রকল্পের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর আজিজুল হক সহ এলাকার বিশিষ্টজনরা বন্দরে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান। পরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতাভুক্ত ডি এ চিলমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় ছাত্রছাত্রীদের হাতে বিস্কুট তুলে দেন। এসময় তিনি বলেন, আমি শিশুদের মাঝে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি। স্কুল ফিডিং বিস্কুট অন্যান্য সাধারণ বিস্কুট থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এতে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল আছে। বিস্কুটগুলো শিশুদেরকে শক্তিশালী করবে। তাদের শারীরিক উন্নয়নের সঙ্গে স্বাস্থ্যবান বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রও প্রসারিত হবে। শিশুদের মাঝে বিস্কুটগুলো দিতে পেরে আমার এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ভালো লাগছে। এ সময় রাষ্ট্রদূতের সফর সঙ্গী হিসেবে বিশ্বখাদ্য কর্মসূচির প্রতিনিধি ক্রিস্টা রাডার উপস্থিত ছিলেন। স্কুল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ২০০২ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বখাদ্য কর্মসূচি প্রকল্পে ৫৮ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা দিয়েছে। শুধু এ বছরেই ১০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা দেয়া হয়েছে মর্মে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৩ লাখ ৫০ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ প্রকল্প চলছে। ২০০২ সাল থেকে চিলমারী সহ কুড়িগ্রাম জেলায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু হয়। চিলমারীতে ৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ২২ হাজার ছাত্রছাত্রী এ কর্মসূচির আওতাভুক্ত। সকাল ১১টায় রাষ্ট্রদূত সি প্লেন যোগে চিতলমারী থেকে নীলফামারীর উদ্দেশে রওনা হন।

No comments:

Post a Comment