Tuesday, April 10, 2012

বদল হতে পারে মন্ত্রণালয় পাকিস্তানজুড়ে হিনাকে নিয়ে আলোচনা


পাকিস্তানের গ্লামারাস পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খারকে সরিয়ে দেয়া হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক থমাস নাইডসের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির বৈঠকের সময় তিনি দ্বিমত পোষণ করেছিলেন। এ কারণে তাকে সরিয়ে দেয়া হতে পারে। এর ৪ দিন পরেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির একটি বক্তব্যে এমনই আভাস পাওয়া গেছে। গতকাল এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই। এতে বলা হয়েছে, ৪ঠা এপ্রিল লাহোরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি থমাস নাইডসের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে বৈঠক করেন। আগামী মে মাসে শিকাগোতে অনুষ্ঠিত হবে আফগানিস্তানবিষয়ক একটি সম্মেলন। তাতে পাকিস্তানের যোগ দেয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন থমাস নাইডস। জবাবে জারদারি বলেন, ওয়াশিংটন যদি আনুষ্ঠানিক কোন আমন্ত্রণ জানায় তাহলে তিনি তার সরকার তা মেনে নেবে। এ সময়ে তার কথায় বাদ সাধেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। এ অবস্থায় পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনের আগে এ আহ্বানে সাড়া দেয়া ঠিক হবে না। তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে পার্লামেন্টে পর্যালোচনার পরই কেবল শিকাগো সম্মেলন নিয়ে আলোচনা করা যাবে। তার এ বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল। প্রেসিডেন্টের মুখের ওপর এভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করায় তারা থতমত খেয়ে যান। এ ঘটনার ৪দিন পর প্রধানমন্ত্রী গিলানি ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনার প্রশ্নে বলেন, এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে একটি ‘ফ্রেস টিম’ আলোচনা এগিয়ে নেবে। ফ্রেস টিম বলতে তিনি কি বুঝাতে চেয়েছেন তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিশ্লেষণ। প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পরেই হিনা রাব্বানি খারকে সরিয়ে দেয়া হতে পারে বলে আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছে। পিটিআই জানায়, গত নভেম্বরে ন্যাটোর বিমান হামলায় পাকিস্তানের ২৪ সেনা নিহত হয়। এরপরই পাকিস্তান সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছে। তারপর থেকেই দু’দেশের সম্পর্কে একটি টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে। ওদিকে প্রধানমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের কারণে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আলোচনা চলছে মন্ত্রিসভার আসন্ন রদবদলের সময় হিনা রাব্বানি খারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে অন্য কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী গিলানি ও ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) নেতারা বলছেন, আগামী বছরের শুরুর দিকে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। তা লক্ষ্য করে শিগগিরই মন্ত্রিসভায় রদবদল আনা হবে। আলোচনা চলছে, হিনা রাব্বানি খারকে সরিয়ে দেয়ার পর যে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসবেন তিনিই নয়া দিল্লির সঙ্গে আলোচনা শুরু করবেন। গতকাল পাকিস্তানের দ্য নিউজ পত্রিকায় এ খবর বলা হয়েছে। আলোচনা আছে, নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী গিলানির দূর সম্পর্কের আত্মীয় জলিল আব্বাস জিলানি। কর্মকর্তা ও কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছেন- সরিয়ে দেয়া হবে বলেই প্রেসিডেন্ট জারদারির রোববারের ভারত সফরে নেয়া হয় নি হিনা রাব্বানি খারকে।

No comments:

Post a Comment