
নিজের
পোষা বিড়ালের মৃত্যুই নোবেল বিজয়ী মার্কিন সাহিত্যিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ের
হতাশার মূল কারণ ছিলো বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে তার সদ্য প্রকাশিত কিছু
চিঠিতে। এক সড়ক দুর্ঘটনায় ‘আঙ্কেল উইলি’ নামের ওই বিড়ালটির দুই পা ভেঙে
গেলে তাকে হত্যা করতে বাধ্য হন হেমিংওয়ে। সদ্য প্রকাশিত এসব চিঠিতে এমনটিই
তিনি লিখেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। ১৯৫০ সালে এক বন্ধুকে লেখা চিঠিতে
হেমিংওয়ে বলেন, আমি অনেককে গুলি করেছি। তবে কখনই এমন কাউকে নয়, যাকে আমি ১১
বছর ধরে চিনতাম আর ভালবাসতাম।
হেমিংওয়ের অপ্রকাশিত এ ১৫টি চিঠি যুক্তরাষ্ট্রের জেএফ কেনেডি লাইব্রেরিতে
সর্বসাধারণের প্রদর্শনীর জন্য রাখা হবে। গত বছরের শেষ দিকে চিঠিগুলো জেএফ
কেনেডি লাইব্রেরির কাছে হস্তান্তর করেন হেমিংওয়ের বন্ধু জিয়ানফ্রাঙ্কো
ইভানসিচ। তরুণ ইতালিয়ান জিয়ানফ্রাঙ্কো ইভানসিচের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর
চিঠিপত্র আদান-প্রদান ছিল হেমিংওয়ের। ১৯৪৯ সালে ভেনিসে ইভানসিচের সঙ্গে
পরিচয়ের পর তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। ‘দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি’
ও ‘ফর হুম দ্য বেল টোলস’ উপন্যাসের লেখক হেমিংওয়ে চিঠিতে লিখেছেন- পোষা
বিড়ালকে হত্যার দিন কিউবায় তার বাগানবাড়িতে বেশ কয়েক জন অতিথি এসে হাজির
হন। তিনি বন্দুক হাতে নিয়েই দুঃখ প্রকাশ করে তাদের বলেন- তারা বেশ খারাপ
একটি সময়ে এসে পড়েছে এবং দয়া করে যেন চলে যান। এর পরপরই তিনি জানান, তার
অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথিদের একজন বলে উঠেন- আমরা সবচেয়ে চমকপ্রদ সময়ে এসে পড়েছি।
একদম ঠিক সময়ে, যখন মহান হেমিংওয়ে একটি বিড়াল হত্যা করতে হয়েছে বলে
কাঁদছেন। হেমিংওয়ের প্রতিটি সাহিত্যকর্মেই মাছধরা, পশু শিকার, ষাঁড়ের লড়াই
ইত্যাদি পুরুষালী উদ্যম ও কর্মকাণ্ডের বর্ণনায় পূর্ণ। যুদ্ধফেরৎ এ
সাহিত্যিক তার চিঠিতে বলেন- নিজের পোষা বিড়ালকে হত্যা করা তার জন্য কঠিন
ছিল। কারণ, এর আগে কখনই ‘দুটি ভাঙা পা নিয়ে কাতরাতে থাকা কাউকে’ হত্যা করতে
হয়নি তাকে। ইভানসিচকে চিঠিতে হেমিংওয়ে বলেন, নিজের সাহিত্যকর্মের কারণে
তার লেখা চিঠিগুলো ইভানসিচের চিঠির মতো সুন্দর হয়ে ওঠে না। সূত্র বিডিনিউজ
No comments:
Post a Comment