মায়াবতীর বাড়ি মেরামতে খরচ ৮৬ কোটি রুপি

নিজের বাংলো বাড়ি মেরামতে সরকারি তহবিলের ৮৬ কোটি
রুপি খরচ করেছেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির প্রধান মায়াবতী। তিনি যখন
মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ওই বিশাল অংকের অর্থ খরচ করা হয়েছে। তিনি ২০০৭
সালে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। তারপর থেকেই ১৩ মল এভিনিউর বাংলো
মেরামত কাজ শুরু করেন। তা শেষ হয় তার মেয়াদের শেষের দিকে। সমাজবাদী
পার্টির নেতা শিবপাল যাদবের একটি আরটিআই দরখাস্ত থেকে এই তথ্য বেরিয়ে
এসেছে। তিনি এ দরখাস্তটি করেছিলেন মায়াবতীর ক্ষমতার মেয়াদে যখন
বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন। এটি এক বছর আগের কথা। তা সত্ত্বেও এ বিষয়টি
সমপ্রতি প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল অনলাইন দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর
দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এস্টেট বিভাগের সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেছেন,
এখনও আমরা মোট খরচ নিয়ে তদন্ত করছি। তবে তাতে মনে হচ্ছে, মোট খরচের অংশ
১০০ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যেতে পারে। মায়াবতীর ওই বাড়িটি লক্ষ্ণৌর মল
এভিনিউতে অতি মূল্যবান ৫ একর জায়গার ওপর স্থাপিত। তার নিরাপত্তা রক্ষায়
রাজস্থান থেকে শ্বেত পাথর নিয়ে ২০ ফুট উঁচু করে দেয়াল নির্মাণ করা
হয়েছে। কিন্তু আদতে, ১৩ মল এভিনিউ এ বাড়িটি ২.৫ একর জায়গায়। কিন্তু
মায়াবতী তার পার্শ্ববর্তী একটি প্লট যোগ করেছেন। ওই বাড়িটি ছিল একটি
সরকারি অফিস। তা ভেঙে দেয়া হয়েছে। ওই ৫ একরের জায়গায় মূল ভবনটি একটি এক
তলাবিশিষ্ট বাড়ি। তাতে রয়েছে ৬টি রুম। একটি রুমের সঙ্গে আরেকটি রুম
সংযুক্ত। রুমগুলোর সামনে বিশাল বিস্তৃত করিডোর। তাতে রয়েছে বেশকিছু লকার।
করিডোরের একটি দেয়ালে মায়াবতীর নিখুঁত একটি ছবি ঝুলছে। তাতে তাকে ১৯৯৫
সালে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে দেখা যাচ্ছে। করিডোরের
বাইরের দিকে রয়েছে একটি বারান্দা। তাতে রয়েছে দু’টি জানালা। সেখানে বসানো
হয়েছে বুলেটপ্রুফ কাচ। প্রতিটি জানালার পেছনে খরচ পড়েছে ১৫ লাখ রুপি।
এছাড়া রয়েছে আলাদা একটি দোতলা বাসা। সেটিও সুসজ্জিত। সেখানে রয়েছে ১৪টি
বেডরুম। সব রুমে মেঝেতে ইতালিয়ান মার্বেল বসানো। এখানে আছে একটি মিটিং হল,
একটি নিরাপত্তা কক্ষ, কতগুলো গ্যারেজ ও গাড়িচালকদের রুম। রয়েছে দু’টি ২০
ফুট উঁচু মূর্তি। একটি মায়াবতীর। অন্যটি তার গুরু কাশীরামের। এছাড়া
সেখানে আছে হাতির ৫টি মার্বেলের মূর্তি। এ ভবনটির কাজ একবারে শেষ করা
যায়নি। কারণ, যতবারই কাজ করা হয়েছে, সজ্জিত করা হয়েছে ততবারই মায়াবতীর
তা পছন্দ হয়নি। মূল ভবনের একটি বাথরুমের কাজই কমপক্ষে ১২-১৩ বার করা
হয়েছে।
No comments:
Post a Comment