পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীর ঠোঁট কেটে ভক্ষণ

সুন্দরী স্ত্রীর অন্য পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত
সম্পর্ক রয়েছে- এমন সন্দেহে একটি মেডিকেল ইনস্টিটিউটের সাবেক সহযোগী
প্রফেসর তার স্ত্রীর ঠোঁট কেটে খেয়ে ফেলেছেন। এ অভিযোগে তাকে পুলিশ
গ্রেপ্তার করেছে। সুইডেনে ঘটেছে এ ঘটনা। সেদেশের মিডিয়া বলছে, ওই প্রফেসরের
বয়স ৫২ বছর। তাকে গ্রেপ্তার করার পর পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে স্ত্রীর
ঠোঁট কেটে তা খেয়ে ফেলার কথা। তিনি বলেছেন, এটা সম্মান রক্ষার জন্য করেছি।
আমি যা করেছি তাতে আমার কোন দুঃখবোধ নেই। কারণ, আমার স্ত্রী আমার সঙ্গে
প্রতারণা করেছে। ঘটনা এত মারাত্মক যে, প্রসিকিউটররা এখন ওই প্রফেসরের
বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনছেন। তবে আদালত ওই অভিযোগকে একটু নমনীয়
করে আগ্রাসী হামলা হিসেবে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন। নির্যাতিতার পক্ষে লড়াই
করছেন আইনজীবী ইঙ্গেলা হেসিয়াস একমান। তিনি দাবি করেছেন, তার মক্কেলের যে
ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। তিনি বলেন, আমার মক্কেলের মারাত্মক ক্ষত হয়েছে।
চিকিৎসকরা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না তিনি ভাল হবেন নাকি। তার
প্রচণ্ড বেদনা হচ্ছে ঠোঁটে। এ মামলার শুনানি আগামী জুলাই মাসে শুরু হওয়ার
কথা রয়েছে। অভিযুক্ত প্রফেসরের বাড়ি ইরানে। তিনি ২০১০ সালে কারোলিনস্কা
ইনস্টিটিউটে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করছিলেন। বর্তমানে তিনি তেহরানে একটি
বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিতে নিয়োজিত থাকলেও বেশির ভাগ সময় কাটান স্টকহোমে।
সেখানে তিনি তার পুরনো সহযোগীদের সঙ্গে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সেখানকার
পরিচালক বেঙ্গট নোরভিং বলেছে, তিনি যা করেছেন তা এক ভয়াবহ ঘটনা। তবে ঘটনাটি
ইনস্টিটিউটের ভিতরে নয় বলে আমরা এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে পারছি না।
No comments:
Post a Comment