Tuesday, June 19, 2012

স্বামীকে হত্যা করে পুলিশে মিথ্যা তথ্য

 স্বামীকে হত্যা করে পুলিশে মিথ্যে কথা বললেন তার স্ত্রী ডা. প্রজ্ঞা ভট্টাচার্য। তিনি বললেন, তার স্বামী ডা. তুষার মারা গেছেন বৈদ্যুতিক শক লেগে। কিন্তু ময়নাতদন্তে ধরা পড়ে গেলেন প্রজ্ঞা। দেখা গেল, তিনি তার স্বামীকে হত্যা করেছেন। এ অভিযোগে গত শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বই পুলিশ। ভারতের একটি অনলাইন ট্যাবলয়েড দৈনিক এ খবর দিয়ে জানায়, প্রজ্ঞা ও তুষার দু’জনেরই আয়ুর্বেদিক ডাক্তার। তাদের বসবাস বোরিভলি এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতে তুষার ছিলেন মাদকাসক্ত। ওই রাতে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পর তুষার দ্বিতীয়বার স্ত্রীর সঙ্গ চান। কিন্তু তাতে প্রজ্ঞা অস্বীকৃতি জানালে তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে তীব্র কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে প্রজ্ঞা তার স্বামী তুষারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। তুষার মদ্যপ অবস্থায় থাকায় তাল সামলাতে না পেরে দেয়ালে গিয়ে সজোরে মাথা ঠুকতে থাকেন। তারপর মেঝেতে অচেতন হয়ে পড়ে যান। এ সময় প্রজ্ঞা একটি তোয়ালে নিয়ে তার নাকমুখ চেপে ধরেন। কিন্তু অচেতন অবস্থায় থাকায় তুষার তাকে সরিয়ে দিতে বা নিজেকে বাঁচাতে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেননি। ফলে অনেক সহজেই তিনি মারা যান। এর মধ্য দিয়ে তাদের ২০ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটে। তাদের রয়েছে ১৮ বছর বয়সী এক মেয়ে। ডা. তুষারের বাড়ি কর্নাটকে এবং প্রজ্ঞার বাড়ি গুজরাটে। ডা. তুষার মারা যাওয়ার পরদিন শুক্রবার সকালে প্রজ্ঞা ফোন করেন পুলিশে। তাদেরকে বলেন, বিদ্যুতে শক লেগে মারা গেছেন তুষার। তার এ বিবৃতির ওপর ভিত্তি করে পুলিশ একটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বিষয়ক রিপোর্ট নিবন্ধিত করে। ওদিকে ডা. তুষারের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ভগবতী হাসপাতালে। শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেয়া হয়। তাতে বলা হয়, তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মারা যাওয়ার আগে তার মাথার হাড় ভেঙে গেছে। এই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে পুলিশ ওই দিনই ডা. প্রজ্ঞাকে গ্রেপ্তার করে। তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় বোরিভলি আদালতে। সেখান থেকে ২০শে জুন পর্যন্ত তাকে পুলিশি রিমান্ডে দিয়েছে আদালত। ডা. প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৯৯, ২০১ এবং ৩০২ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

No comments:

Post a Comment