পাকিস্তানের হাজারা বিভাগের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে
উপজাতিদের এক বিয়ের অনুষ্ঠানে পুরুষের সঙ্গে নাচার কারণে ৪ নারীকে হত্যা
করা হয়েছে। গতকাল বার্তা সংস্থা পিটিআই এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়, টেলিভিশন
নিউজ চ্যানেলগুলো এ খবর দিলেও স্থানীয় সিনিয়র কর্মকর্তারা ওই খবরকে
ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক। তবে কতজন নারীকে এ ঘটনায়
হত্যা করা হয়েছে তার সঠিক কোন তথ্য নিরপেক্ষ মাধ্যম থেকে পাওয়া যায়নি। জিও
নিউজ চ্যানেল জানিয়েছে, হত্যা করা হয়েছে ৪ নারীকে। কিন্তু দ্য এক্সপ্রেস
ট্রিবিউন তার ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, হত্যা করা হয়েছে ৫ নারীকে। পঞ্চম এক নারী
হত্যা করা এক নারীর বোন। সমপ্রতি কোহিস্তানে এক বিয়ের পার্টিতে দু’পুরুষের
সঙ্গে ওই নারীরা নাচে ও গান গায়। এর জন্য স্থানীয় জিরগা ওই নারীদের ও
পুরুষের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়। অভিযোগ করা হয়েছে, এর মাধ্যমে তারা পরিবারের
মান-সম্মান ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছেন। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, একটি
ভিডিও টেপ ধারণ করা হয় তাদের নাচের। তাতে দেখা যায়, অভিযুক্তরা একত্রে গান
গাইতে গাইতে বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচছে। এর মাধ্যমে তারা উপজাতিদের রীতিনীতি
লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়। ফলে ওই ৪ নারীকে তাদের শ্বশুরবাড়ি থেকে
ডেকে নিয়ে অভুক্ত অবস্থায় রাখা হয় একটি রুমে। কোহিস্তান জেলার সিরতাই
গ্রামে ওই রুমে তাদের বেঁধে রাখা হয়। যে ২ পুরুষকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া
হয়েছে তাদের একজনের বড়ভাই মুহাম্মদ আফজাল বলেছেন, উপজাতিদের আদালত তাদের
ব্যভিচারী হিসেবে ঘোষণা দেয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে
উপস্থিত ছিলেন এমন একজন অতিথি তার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ওই নারী ও
পুরুষের নাচ ও গানের দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করেছিলেন। এখন থেকে ২ মাস আগের ওই
ঘটনার ভিডিওটি তিনি পরে তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু
তা আস্তে আস্তে উপজাতি নেতাদের কানে চলে যায়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হন। তারা
আদালত বসান। সে আদালতে অভিযুক্তদের দোষী ঘোষণা করা হয়। বলা হয়, তারা এক
সঙ্গে নেচে-গেয়ে ইসলামী নিয়ম ও উপজাতি নিয়মনীতি লঙ্ঘন করেছেন।
No comments:
Post a Comment