অদ্ভুত নিরাপত্তা!

এতদিন নানা কারণে নিরাপত্তা দেয়ার কথা শোনা গেছে।
কিন্তু একেবারে অভাবনীয় একটি কারণে নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ করতে হয়েছে
আটলান্টার অ্যানি হকিন্স টার্নারকে। তিনি এরই মধ্যে গিনেস ওয়ার্ল্ড
রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন। সেটা নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগের জন্য নয়, যে কারণে
নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ দিয়েছেন সেজন্য। অ্যানির স্তনের সাইজ ১০২ জেড জেড
জেড। এজন্য তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক স্তনের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড
রেকর্ডসে ঠাঁই পেয়েছেন। কিন্তু এত বিশাল আকারের স্তন নিয়ে তার চলাফেরা
ঝুঁকিপূর্ণ। তাকে দেখেই পাণিপ্রার্থী হয় অনেকে। এতে তিনি নিজেকে সামাল দিতে
হিমশিম খান। তাই তাকে যাতে কেউ বিরক্ত করতে না পারে এজন্য তিনি নিরাপত্তা
রক্ষী নিয়োগ করেছেন। সমপ্রতি তিনি একটি রিয়েলিটি টিভি শোতে বলেছেন, ছোটবেলা
থেকেই তার শরীরের ঊর্ধ্বাঙ্গের বৃদ্ধি ছিল অস্বাভাবিক। কোন ওষুধ বা
ইমপ্ল্যান্ট না করানোর পরও তার এ বৃদ্ধি দেখে অনেকে অবাক। শৈশব থেকেই তাই
তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে অনেকে। অনেকে তার পিছু পিছু ছুটতে থাকে। তাদের
উদ্দেশ্য তার পাণি প্রার্থনা করা। ভালবাসা নিবেদন করা। তিনি ওই পত্রিকাকে
বলেছেন, এখনও যখন বাসা থেকে বের হই তখন ভাবতে হয় আমার দিনটি কিভাবে যাবে।
আমাকে কে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ধাক্কা দিতে পারে। আমাকে চেনেন না এমন অনেক
মানুষ আমাকে প্রতিদিনই টিজ করেন। তারা আমাকে নিয়ে মজা করেন। এর কোন কারণ
নেই। কারণ একটাই। তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমিও তো অন্যদের মতো একজন
মানুষ। কতক্ষণ ওই টিজ সহ্য করা যায়। তারপর আমি আমার শরীর নিয়ে গর্বিত।
কারণ, আমার মতো আর কেউ নন। আমি লাখের মধ্যে একজন। তারপরও আমি নিরাপত্তা
রক্ষী নিয়োগ করতে বাধ্য হয়েছি। বর্তমানে অ্যানির বয়স ৫৩ বছর। দু’সন্তানের
মা তিনি। তিনি বলেছেন, এত ঝক্কিঝামেলা হলেও কখনও তিনি শরীরের ওই বিশেষ
অঙ্গটি অপারেশনের মাধ্যমে ছোট করার কথা চিন্তা করেননি। তিনি বলেন, আমার
শরীরে ডাক্তাররা ছুরি চালাবেন এমনটা আমি কখনও ভাবিনি। যখন আমার শরীরে কোন
অঙ্গ ভেঙে বা অসুস্থ হয়ে যায়নি ততক্ষণ কেন আমি সেখানে অপারেশন করাতে যাবো?
No comments:
Post a Comment