
১. কাছাকাছি থাকুন। একজন অন্যজনকে স্পর্শ করুন। যখন আপনার ঘুম এসে যাচ্ছে তার আগে আপনার জীবনসঙ্গীকে কাছে পাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে হরমোনের উৎপাদন বেড়ে যায়। আপনার মানবিক বন্ধন দৃঢ় হয়। ঘুমাতে যাওয়ার আগে যখন টিভি দেখছেন তখন আপনারা একে অন্যের হাত দুটো মুঠো করে ধরুন। তাতে মানসিক পরিবর্তন আসবে। এ জন্য বেভারলি হিলসের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ক্যারোল লিবারম্যান বলেন, দম্পতিদের উচিত ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটু আলাদা চেষ্টা করা। তাদের মধ্যে স্পর্শ নামের অনুভূতি কাজ করলে তাদের প্রেমময় ও শারীরিক স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
২. বালিতে মাথা রেখে গল্প করুন। যখন সব বাধা পেরিয়ে স্বামী-স্ত্রী একই বিছানায় ঘুমাতে যান তখন তাদের উচিত বালিতে মাথা রেখে গল্পে মেতে ওঠা। সেই গল্প হতে পারে কিভাবে আপনার বাচ্চা স্কুলে যাবে, আপনার গাড়ি কাল কেমন সার্ভিস দেবে, কর্মক্ষেত্রে আপনাকে কি কাজ করতে হবে। এভাবে গল্প করতে করতে দেখবেন আপনাদের মধ্যকার জড়তা কেটে যাবে। ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে এই কথা চিন্তা করে কেউ যদি তারপরও আলাদা ঘরে ঘুমান তাহলে উচিত হবে যিনি ঘুম থেকে আগে উঠবেন তিনি যেন তার জীবনসঙ্গীর খোঁজে অন্য ঘরে ঢুঁ মারেন।
৩. কোন দম্পতি যদি এভাবে একত্রে না ঘুমিয়ে আলাদা আলাদা ঘুমান তাহলে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক আস্তে আস্তে লোপ পাবে। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে মনোবিজ্ঞানীরা দেখেছেনÑ আলাদা ঘরে ঘুমালেও দম্পতিদের শারীরিক সম্পর্ক ঠিক থাকে। এক্ষেত্রে তাদের মানসিক প্রস্তুতি বড় হয়ে দেখা দেয়।
৪. আবেগ প্রকাশের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে বন্ধনকে আরও শক্ত করুন। এ কাজটি দম্পতিদের জন্য খুব সোজা। যদি কোন দম্পতি এক বিছানায় না ঘুমান তাহলে তারা একে অন্যের আবেগ অনুভূতিকে স্পর্শ করতে পারবেন না। ফলে তাদের বন্ধন শিথিল হতে থাকে।
No comments:
Post a Comment