Sunday, August 26, 2012

বাংলাদেশী শামীমাকে নিয়ে লন্ডনে নানা গুঞ্জন

বাংলাদেশী বংশোদভূত যুবতী শামীমা আক্তারের প্রেমকাহিনী নিয়ে লন্ডনে তোলপাড় চলছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রেমিকের সঙ্গে তার যুগল ছবি প্রকাশ হওয়ায় তা নিয়ে অন্যদের সঙ্গে বাংলাদেশী সমপ্রদায়ের মধ্যে চলছে নানা গুঞ্জন। ১৮তম জন্মদিনে প্রেমিক গ্যারি পেইনকে তিনি চুমু খেয়েছিলেন। এ কারণে তার ভাই-বোন তাকে মারপিট করেছেন। রাগে ক্ষোভে শামীমা পরিবারের সদস্যদের ছেড়ে চলে গেছেন প্রেমিক গ্যারির কাছে। গতকাল অনলাইন ডেইলি মেইল এ খবর দিয়েছে। তাতে প্রেমিকের সঙ্গে শামীমার বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশিত হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, পরিবারের ৬ সদস্যের সঙ্গে শামীমা লন্ডনে থাকে। ১৮তম জন্মদিনে তার সহকর্মী প্রেমিককে চুমু খান তিনি। তা দেখেই শামীমার ওপর চড়াও হয়েছিল তার দু’বোন নাজিরা (২৯), নাদিয়া (২৫) ও ভাই মোহাম্মদ আবদুল (২৪)। তারা শামীমার চুলের মুঠি ধরে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করে। ওই ঘটনার পর শামীমা তার রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এখন গ্যারি পেইনের সঙ্গেই থাকছেন। শামীমা বলেছেন, এত ঘটনার পর গ্যারিকেই আমি একজন চমৎকার মানুষ হিসেবে পেয়েছি। আমি এখন সুখী। তবে একই সঙ্গে আমি আমার পরিবারের সবাইকে হারিয়েছি। এ বিষয়টি খুব কষ্টের। আমি আর কখনও তাদের কাছে ফিরে যেতে পারবো না। বাংলাদেশ থেকে বৃটেনে অভিবাসী হিসেবে যাওয়া শামীমার পরিবারে ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। গত বছর মার্চ মাসে ১৮তম জন্মদিন পালন করতে শামীমা সহকর্মীদের সঙ্গে বাইরে গিয়েছিলেন। তখন এক পর্যায়ে তার সঙ্গে গ্যারিকে চুম্বনরত অবস্থায় দেখতে পায় তার ভাইবোন। এতে তারা তার ওপর চড়াও হয়। ওই ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে শামীমা বলেছেন, আমার ভাই গ্যারির গলা টিপে ধরেছিল আর আমার বোনরা আমাকে টেনে-হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নিয়েছিল। গাড়িতে ওঠার পরপরই নাজিয়া আমার মাথায় ঘুষি মারে। এরপরই তারা গাড়ির তালা বন্ধ করে দেয়ার আমি বেরুতে পারিনি। ওই ঘটনার পর শামীমা কোনক্রমে গ্যারিকে মোবাইল বার্তার মাধ্যমে পুলিশের সহযোগিতা নেয়ার অনুরোধ করেন। এরপর শামীমার ভাইবোনরা আটক হন। শামীমা স্বীকার করেন, তিনি আশা করেছিলেন তার ভাইবোনদের কারাদণ্ড হোক। কিন্তু বিচারে জুরি তাদেরকে শর্তসাপেক্ষে জামিন ও জরিমানা করেছে। শামীমা বলেন, আমি পুলিশের কাছ থেকে এর থেকে বেশি কিছু আশা করতে পারিনি। নিজেকে বরং এক্ষেত্রে কিছুটা বোকা মনে হয়েছে। আমি চাইছিলাম বিচারক আমার মতো পরিবারগুলোকে এক ধরনের বার্তা পাঠাক। আমি চাই না লোকজন আমার দুর্দশার জন্য দুঃখপ্রকাশ করুক। আমি কেবল চাই বিভিন্ন বাড়িতে বন্ধ দরজার ওপারে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে সেটা সবাই জানুক। এক্ষেত্রে আমি অনেকটাই সৌভাগ্যবান। আমি গ্যারিকে পেয়েছি। আমার মতো শ’ শ’ মেয়ে রয়েছে যারা এ ধরনের নির্যাতন সহ্য করছেন অথচ তাদের যাওয়ার কোন জায়গা নেই।  
Taken from The daily Manabzamin
26-08-12

No comments:

Post a Comment