Saturday, August 18, 2012

বিচারকের রায়ে ভেঙে গেল বাংলাদেশী যুবতীর বিয়ে

বৃটেনে বিচারকে রায়ে ভেঙে গেল বাংলাদেশী এক যুবতীর বিয়ে। যাকে নিয়ে তিনি এতদিন ঘরসংসার করেছেন সেই স্বামী এখন তার কাছে অচেনা। তার সঙ্গে তিনি আর সংসার করতে পারবেন না। পারিবারিকভাবে জোর করে বিয়ে দেয়া হয়েছিল বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এক যুবতীকে। তার নাম, ঠিকানা জানা যায়নি। কিন্তু আদালত সেই বিয়েকে বাতিল বলে রায় দিয়েছেন। ওই যুবতী বিকলাঙ্গ ও তার রয়েছে শিক্ষায় অনেক সমস্যা। তার পিতা-মাতা তাকে নিয়ে বাংলাদেশে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেয়, যাতে সে তার স্বামীকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে বসবাস করতে পারে। জানা গেছে, তার স্বামী তারই এক কাজিন। এ বিষয়টি আদালতে ওঠার পর শুনানি হয়। অবশেষে বিচারপরিত পার্কার রায় দেন, যেহেতু ওই যুবতীর মধ্যে বিয়ে কি জিনিস এমন কোন ধারণা নেই, তাই তার বিয়েকে ইংল্যান্ডে বাতিল বলে গণ্য হবে। এ সময় ওই যুবতীর পরিবার আদালতে আর্জি তোলে। তারা বলে, তার মতেই বিয়ে হয়েছে। কিন্তু আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য গালফ টুডে। এতে বলা হয়, ২০০৩ সালে ওই যুবতীকে বিয়ে করাতে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময় তাকে তার এক কাজিনের সঙ্গে বিয়ের বন্দোবস্ত করা হয়। বরকে ইংল্যান্ডে গিয়ে বসবাসের শর্ত বরপক্ষ মেনে নেয়। এরপরই তাদের বিয়ে হয়। বর-কনে বিয়ে শেষে ফিরে যায় ইংল্যান্ডে। কিন্তু সে খবর স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে চলে যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ গিয়ে তাতে তদন্ত করে। তারা বিষয়টি আদালতের নজরে নেয়। তখন ওই যুবতীর পিতামাতা বলেন, তাদের মেয়ে বিকলাঙ্গ। তার চলাফেরায় নিরাপত্তা নেই। তাই তারা তাকে একটি নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। তাকে বিয়ে দিয়ে তার স্বামীকে ইংল্যান্ড নিয়ে গিয়েছেন। তবে কোন যুক্তিই শেষ পর্যন্ত ধোপে টেকেনি। বিচারক ওই বিয়েকে বাতিল ঘোষণা করেন।

No comments:

Post a Comment