আরব বসন্ত ওই অঞ্চলে অনেক ঘটনার সঙ্গে নতুন একটি ঘটনার সূচনা করেছে। সেখানকার সাবেক ফার্স্ট লেডিরা এখন নিজেদের অতীত জীবন-যাপন নিয়ে স্মৃতিকথা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন। তাদের এ উদ্যোগে অবশ্য মানুষের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। তিউনিশিয়ার মতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট জিনে আল আবিদিন বিন আলির স্ত্রী লাইলা তারাবৌলসি দীর্ঘদিনের নীরবতা ভেঙে সম্প্রতি তার স্মৃতিকথা প্রকাশ করেছেন। মিশরের কারাবন্দি সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের স্ত্রী সুজান মুবারক স্মৃতিকথা লিখবেন বলে গুজব শোনা গেলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন এ ব্যাপারে কাজ করার মতো সময় তার হাতে নেই। কারণ বিভিন্ন অভিযোগে তার স্বামী এবং সন্তানরা এখন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। মিশরের বর্ষীয়ান মিডিয়া বিশেষজ্ঞ ফারুক আবু জেইদ সাবেক ফার্স্ট লেডিদের স্মৃতিকথার প্রসঙ্গে বলেছেন, তাদের স্মৃতিকথা আসলেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এক্ষেত্রে বিশেষ করে লাইলা তারাবৌলসির স্মৃতি কথার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, লাইলার স্মৃতিকথা তিউনিশিয়ার ইতিহাসের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। এছাড়া জনগণ দীর্ঘদিন মিশরে ক্ষমতাসীন ফার্স্ট লেডির স্মৃতিকথা পড়তেও অনেক আগ্রহ বোধ করবেন। আবু জেইদ গাল্ফ নিউজকে বলেছেন, দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরেই মিশরীয়দের জীবনে সুজান মুবারকের বেশ সক্রিয় প্রভাব ছিল। তিনি যদি স্মৃতিকথা লিখেন সেটা বস্তুনিষ্ঠ হোক আর না হোক অবশ্যই যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করবে। গত বছর অনলাইনের এক রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, সুজান মুবারক ১০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে তার স্মৃতিকথা প্রকাশের জন্য বৃটিশ প্রকাশক ক্যাননগেটের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছেন। মিশরের রোজ আল ইউসুফ ম্যাগাজিনের আর্টিকেলের ভিত্তিতে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, সুজান মুবারকের স্মৃতিকথার নাম হচ্ছে ‘ইজিপ্টশিয়ান ফার্স্ট লেডি: ৩০ ইয়ার্স অন ইজিপ্ট’স ক্রাউন’। লন্ডনের একজন প্রবীণ অনুবাদক এটি অনুবাদ করবেন বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে গাল্ফ নিউজের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে ক্যাননগেট এ ধরনের গুজব অস্বীকার করে বলেছেন, তারা এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। আবু-জেইদ ব্যাখ্যা করে বলেছেন, সুজান মুবারক স্মৃতিকথা লিখবেন বা লিখতে ইচ্ছুক বলে আমরা কোন কথা শুনিনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি এ ধরনের স্মৃতিকথা লেখার কথা চিন্তাও করতে পারেন না। তবে পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে, তার পারিবারিক সমস্যাগুলো একটা স্থিতিশীল পর্যায়ে এলে তার স্মৃতিকথা লেখার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। সুজান মুবারকের স্মৃতিকথা লেখা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও লাইলা গত জুনে ফ্রান্সে ‘মাই ট্রুথ’ নামের একটি স্মৃতিকথা প্রকাশ করেছেন। ৫৫ বছর বয়সী সাবেক অজনপ্রিয় ফার্স্ট লেডি স্কাইপিতে ফরাসি সাংবাদিক ইয়েভিস দেরাইকে যে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন সেটার ওপর ভিত্তি করেই এ স্মৃতিকথা প্রকাশ করা হয়েছে। এ স্মৃতিকথাতে তিনি বর্তমানে কারাবন্দি থাকা তার স্বামীর নিরাপত্তা প্রধান আলি সেরাইতির বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ এনেছেন।
Saturday, August 18, 2012
স্মৃতিকথা লিখছেন সাবেক আরব ফার্স্ট লেডিরা
আরব বসন্ত ওই অঞ্চলে অনেক ঘটনার সঙ্গে নতুন একটি ঘটনার সূচনা করেছে। সেখানকার সাবেক ফার্স্ট লেডিরা এখন নিজেদের অতীত জীবন-যাপন নিয়ে স্মৃতিকথা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন। তাদের এ উদ্যোগে অবশ্য মানুষের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। তিউনিশিয়ার মতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট জিনে আল আবিদিন বিন আলির স্ত্রী লাইলা তারাবৌলসি দীর্ঘদিনের নীরবতা ভেঙে সম্প্রতি তার স্মৃতিকথা প্রকাশ করেছেন। মিশরের কারাবন্দি সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের স্ত্রী সুজান মুবারক স্মৃতিকথা লিখবেন বলে গুজব শোনা গেলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন এ ব্যাপারে কাজ করার মতো সময় তার হাতে নেই। কারণ বিভিন্ন অভিযোগে তার স্বামী এবং সন্তানরা এখন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। মিশরের বর্ষীয়ান মিডিয়া বিশেষজ্ঞ ফারুক আবু জেইদ সাবেক ফার্স্ট লেডিদের স্মৃতিকথার প্রসঙ্গে বলেছেন, তাদের স্মৃতিকথা আসলেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এক্ষেত্রে বিশেষ করে লাইলা তারাবৌলসির স্মৃতি কথার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, লাইলার স্মৃতিকথা তিউনিশিয়ার ইতিহাসের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। এছাড়া জনগণ দীর্ঘদিন মিশরে ক্ষমতাসীন ফার্স্ট লেডির স্মৃতিকথা পড়তেও অনেক আগ্রহ বোধ করবেন। আবু জেইদ গাল্ফ নিউজকে বলেছেন, দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরেই মিশরীয়দের জীবনে সুজান মুবারকের বেশ সক্রিয় প্রভাব ছিল। তিনি যদি স্মৃতিকথা লিখেন সেটা বস্তুনিষ্ঠ হোক আর না হোক অবশ্যই যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করবে। গত বছর অনলাইনের এক রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, সুজান মুবারক ১০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে তার স্মৃতিকথা প্রকাশের জন্য বৃটিশ প্রকাশক ক্যাননগেটের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছেন। মিশরের রোজ আল ইউসুফ ম্যাগাজিনের আর্টিকেলের ভিত্তিতে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, সুজান মুবারকের স্মৃতিকথার নাম হচ্ছে ‘ইজিপ্টশিয়ান ফার্স্ট লেডি: ৩০ ইয়ার্স অন ইজিপ্ট’স ক্রাউন’। লন্ডনের একজন প্রবীণ অনুবাদক এটি অনুবাদ করবেন বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে গাল্ফ নিউজের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে ক্যাননগেট এ ধরনের গুজব অস্বীকার করে বলেছেন, তারা এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। আবু-জেইদ ব্যাখ্যা করে বলেছেন, সুজান মুবারক স্মৃতিকথা লিখবেন বা লিখতে ইচ্ছুক বলে আমরা কোন কথা শুনিনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি এ ধরনের স্মৃতিকথা লেখার কথা চিন্তাও করতে পারেন না। তবে পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে, তার পারিবারিক সমস্যাগুলো একটা স্থিতিশীল পর্যায়ে এলে তার স্মৃতিকথা লেখার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। সুজান মুবারকের স্মৃতিকথা লেখা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও লাইলা গত জুনে ফ্রান্সে ‘মাই ট্রুথ’ নামের একটি স্মৃতিকথা প্রকাশ করেছেন। ৫৫ বছর বয়সী সাবেক অজনপ্রিয় ফার্স্ট লেডি স্কাইপিতে ফরাসি সাংবাদিক ইয়েভিস দেরাইকে যে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন সেটার ওপর ভিত্তি করেই এ স্মৃতিকথা প্রকাশ করা হয়েছে। এ স্মৃতিকথাতে তিনি বর্তমানে কারাবন্দি থাকা তার স্বামীর নিরাপত্তা প্রধান আলি সেরাইতির বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ এনেছেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment