অনুরাধা: হত্যা না আত্মহত্যা!

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের সাবেক উপ-মুখ্যমন্ত্রী চন্দর
মোহনের সাবেক স্ত্রী ফিজা মোহাম্মদ ওরফে অনুরাধা বালির মৃত্যু নিয়ে রহস্য
দানা বাঁধছে। তাকে মোহালিতে অবস্থিত ফ্লাটে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
তখন তার মৃতদেহ মেঝেতে পড়া ছিল। পচন ধরেছিল তাতে। বিছানার ওপর জড়ো হয়েছিল
বেশ কিছু কীটপতঙ্গ। এ অবস্থায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা
হয়েছে- তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না পুলিশ। ৩৯ বছর বয়সী অনুরাধা বালি
ছিলেন হরিয়ানার সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট এডভোকেট জেনারেল। সোমবার পুলিশ তার
পচন ধরা লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ওই সময়
অনুরাধার দেহ এমনভাবে পচে গিয়েছিল যে তা থেকে কোন তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব
ছিল না। তবে প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে যে, তিনি চার বা পাঁচদিন আগে মারা
গিয়ে থাকতে পারেন। এ অবস্থায় পরিষ্কার করে বলা যাচ্ছে না, তিনি আত্মহত্যা
করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাছাড়া তার ফ্লাট থেকে কোন চিরকুটও
উদ্ধার করা যায়নি। প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধ পাওয়ার অভিযোগ করলে পুলিশ তার
ফ্লাটে অভিযান চালায়। চন্দর মোহন যখন হরিয়ানার উপ-মুখ্যমন্ত্রী তখন তার
সঙ্গে বিয়ে হয় অনুরাধার। ওই বিয়ের পরই অনুরাধা লাইমলাইটে চলে আসেন। তাদের
বিয়ে নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়। এমনকি চন্দর মোহনের পিতা সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভজন
লাল তা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। এ অবস্থায় তারা কয়েকদিন যোগাযোগ
বিচ্ছিন্ন থাকেন। পরে তারা ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করার পর লোকসম্মুখে
বেরিয়ে আসেন। অনুরাধা নাম পাল্টে নাম রাখে ফিজা। চন্দর মোহন তার নাম
পাল্টে হয়ে যান চাঁদ মোহাম্মদ। এরপর ফিজা যখন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে
রাজনীতিতে নামেন তখন তাদের দাম্পত্যে তিক্ততা দেখা দেয়। সূত্র জানায়, তখন
ফিজা বহুজন সমাজ পার্টিতে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। চন্দর মোহন সমপ্রতি
তার ছোট ভাই কুলদীপ বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে মতপার্থক্য ঘুচাতে সম্পর্ক মাটিচাপা
দেন। যোগ দেন হরিয়ানা জনহিত কংগ্রেসে। ২০০৯ সালের হরিয়ানা রাজ্যসভার
নির্বাচনে ফিজা তার শ্বশুর ভজন লাল পরিবারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রচারণায়
নামেন। এ সময় তিনি আদামপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।
No comments:
Post a Comment