পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন! জানুয়ারিতে ভেঙে দেয়া হতে পারে পার্লামেন্ট

বাংলাদেশে বাতিল করা হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ব্যবস্থা। আর পাকিস্তানে তা চালু হতে যাচ্ছে। সেখানে আগামী জাতীয় সাধারণ
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। এ জন্য জানুয়ারিতে ভেঙে
দেয়া হতে পারে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট। এরপরই গঠন করা হবে তত্ত্বাবধায়ক
সরকার। সেই সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হবে এপ্রিলে। গতকাল এ খবর দিয়েছে
বার্তা সংস্থা পিটিআই। এতে বলা হয়, রাজনৈতিক মহলে আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছে-
পাকিস্তানে আগামী বছর আগাম নির্বাচন হবে। এ জন্য সরকার তার রোডম্যাপ
প্রস্তুত করছে। এর আওতায় আগামী ১৬ বা ১৭ই জানুয়ারি পার্লামেন্টের জাতীয়
পরিষদ ও নিম্ন কক্ষ ভেঙে দেয়া হতে পারে। এ সব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
নেবেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফ।
তার আগে তারা জোটের অন্য শরিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবেন। তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের নিয়মে জানুয়ারিতে যদি জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেয়া হয় তাহলে ৯০ দিনের
মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বাধ্যবাধকতা আছে। বর্তমান পার্লামেন্টের
মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকাতা রয়েছে সংবিধানে।
বর্তমান জাতীয় পরিষদের মেয়াদ পুরো হচ্ছে আগামী ১৬ই মার্চ। ফলে সাধারণ
নির্বাচন হতে হবে অবশ্যই ২৬শে এপ্রিলের মধ্যে। ওদিকে নির্বাচন যত কাছে
এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ততই নতুন নতুন জোট বাঁধার চেষ্টা
অব্যাহত রয়েছে। নির্বাচনের আগে এমন অনেক জোট গঠিত হতে পারে। তবে
পাকিস্তানের ইতিহাসে এবারই প্রথম একটি গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত সরকার
তার মেয়াদ শেষ করতে যাচ্ছে। আর এর সবটুকু কৃতিত্ব দেয়া হচ্ছে প্রেসিডেন্ট
আসিফ আলী জারদারিকে। বিভিন্ন সূত্র আভাস দিয়েছেন, ২০১৩ সালে অনুষ্ঠেয়
নির্বাচনে পার্লামেন্টের দু’কক্ষেই চমক সৃষ্টি হবে। কারণ, আগের নির্বাচনের
চেয়ে এবারকার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি বেশি ভাল করবে।
কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ)-এর প্রধান
নওয়াজ শরিফ নেতৃত্বাধীন তার দল বা সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান কতটুকু সফলতা
দেখাতে পারেন তারও বিশ্লেষণ চলছে। ইমরান খান এরই মধ্যে পাকিস্তানে মার্কিন
ড্রোন হামলার বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সন্দেহের পাত্রে পরিণত
হয়েছেন। কেউ কেউ তাকে তালেবানের সমর্থকও বলে বসেছেন। তাই তাকে গত শুক্রবার
নিউ ইয়র্ক যাওয়ার পথে কানাডায় বিমান থেকে নামিয়ে ২ ঘণ্টা আটক রাখে মার্কিন
অভিবাসন বিষয়ক কর্মকর্তারা। তারা তাকে ওই সময়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে তিনি
নিউ ইয়র্ক যান। ফলে তার প্রতি যুক্তরাষ্ট্র কতটা সন্তুষ্ট থাকবে- তা এখন
প্রশ্নসাপেক্ষ। অন্যদিকে নওয়াজ শরিফ বেশ কিছুদিন রাজনীতিতে অনেকটাই চুপচাপ।
এ অবস্থায় পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতায় আসলেই কে উঠে আসেন তা এখন দেখার বিষয়।
No comments:
Post a Comment