সারকোজিকে ৫২০০০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন গাদ্দাফি


লিবিয়ার সাবেক নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ
থেকে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি ৪০০০ কোটি পাউন্ড
নিয়েছেন। বাংলাদেশের মুদ্রায় যার মান প্রায় ৫২০০০০ কোটি টাকা। নিকোলাস
সারকোজি ২০০৭ সালে যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন তখন ওই অর্থ নিয়েছিলেন
গাদ্দাফির কাছ থেকে। প্রতিদানে ন্যাটো লিবিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযান পরিচালিত
করে তার নেতৃত্ব দেয় সেই ফ্রান্স। অনলাইন ডেইলি মেইল এ খবর দিয়েছে। এতে
বলা হয়েছে, বৃটেনের সঙ্গে অস্ত্র ব্যবসায় ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে এমন প্রচুর
অর্থের মালিক জায়েদ তাকিয়েদ্দিন (৬২)। তিনিই গাদ্দাফির কাছ থেকে নিকোলাস
সারকোজির ওই অর্থ নেয়ার অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। গত ১৯শে ডিসেম্বর তার
সাক্ষ্য নিয়েছে প্যারিসের এক বিচারপতি রেনাউদ ভ্যান রুইমবেকে। সেই সাক্ষ্যে
তিনি বলেছেন, ২০০৬ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৭ সালের জানুয়ারির মধ্যে ওই
অর্থের বেশির ভাগই নিকোলাস সারকোজিকে দিয়ে দেন গাদ্দাফি। এ ঘটনা ঘটে
সারকোজি ক্ষমতায় আসার ৫ মাস আগে। জায়েদ তাকিয়েদ্দিন বলেন, প্রতিজ্ঞা করে
বলছি- আমি এর স্বপক্ষে প্রমাণপত্র দিতে পারবো আপনাদের। তাই এ বিষয়ে নতুন
করে তদন্ত দাবি করছি আমি। এর আগেও নিকোলাস সারকোজির বিরুদ্ধে একই রকম
সাক্ষ্য দিয়েছেন বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী। তারা সবাই বলেছেন, রাষ্ট্রীয়
ক্ষমতায় সারকোজি ছিলেন দুর্নীতিপরায়ণ। ফরাসি আইন অনুযায়ী, নির্বাচনের কোন
প্রার্থী কারো কাছ থেকে ৬৩০০ পাউন্ডের বেশি অর্থ নিতে পারেন না। কিন্তু নগদ
অর্থ না নিয়ে সারকোজি কৌশল অবলম্বন করেন। তিনি পানামা ও সুইজারল্যান্ডের
ব্যাংকের মাধ্যমে গাদ্দাফির কাছ থেকে অনুদান গ্রহণ করেন। গত বছর আরবী ভাষার
একটি প্রমাণপত্র প্রকাশ হয়। তাতে বলা হয়, নিকোলাস সারকোজির প্রেসিডেন্ট
নির্বাচনে নৈতিকভাবে সম্মতি দিয়ে তাকে ৪০০০ কোটি পাউন্ড দিয়েছেন মুয়াম্মার
গাদ্দাফি। লিবিয়ার ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল বা জাতীয় অন্তর্বর্তী
পরিষদের সিনিয়র সদস্যরা গাদা গাদা তথ্য প্রকাশ করে দেয়। ওদিকে অভিযোগ আছে,
গাদ্দাফি যে অর্থ সারকোজিকে দিয়েছেন তার মধ্যস্থতা করেছেন জায়েদ। কারণ, তার
সঙ্গে আরব অঞ্চলের বিভিন্ন জনের সঙ্গে ও ফরাসি রাজনীতিকদের সঙ্গে ভাল
সম্পর্ক ছিল। এছাড়া মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল ইসলাম গাদ্দাফিও
বলেছেন, তার নিকোলাস সারকোজিকে তার পিতা নির্বাচনের সময় অর্থ দিয়েছেন। তার
দাবি, তাই সারকোজির এখন প্রথম কাজ হলো সেই অর্থ লিবিয়ার হাতে ফেরত দেয়া।
তবে এ বিষয়ে নিকোলাস সারকোজির কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
No comments:
Post a Comment