ভারতীয় নারীর প্রেমে পড়েছিলেন ম্যান্ডেল

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট নেলসন
ম্যান্ডেলার বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হলে আমিনা চাচালিয়াই হতেন সেখানকার প্রথম
ভারতীয় বংশোদভূত ফার্স্ট লেডি। ২৭ বছরের কারাজীবন এবং উইনি ম্যান্ডেলার
সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর ম্যান্ডেলা বর্ষীয়ান এএনসি কর্মী ইউসুফ চাচালিয়ার
বিধবা পত্নী আমিনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে আমিনা ম্যান্ডেলার সেই
ভালবাসার প্রস্তাবকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বলে নিজের লেখা জীবনী ‘হোয়েন হোপ
অ্যান্ড হিস্টরি রাইম’-এ দাবি করেছেন। গত মাসে ৮৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণকারী
আমিনা তার আত্মজীবনীতে দীর্ঘদিনের পারিবারিক বন্ধু ম্যান্ডেলার সঙ্গে তার
আবেগঘন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। আামিনার দুই সন্তান গালিব ও
কোকা চাচালিয়া দু’জনই স্বীকার করেছেন যে তাদের মা ম্যান্ডেলার বিয়ের
প্রস্তাবের বিষয়টি তাদেরকে জানিয়েছিলেন। আমিনা এবং ইউসুফ চাচালিয়া দীর্ঘদিন
ভারতে অবস্থান করেছেন। ইউসুফ সেখানে নির্বাসিত অবস্থায় আফ্রিকান ন্যাশনাল
কংগ্রেস প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। আত্মজীবনীতে আমিনা তার নিজের
এপার্টমেন্টে ম্যান্ডেলার যাতায়াত এবং ম্যান্ডেলার বাড়ি এবং অফিসে তার
যাতায়াতের বিস্তারিত বিবরণ তুৃলে ধরেছেন। একটি ঘটনার বিবরণে তিনি লিখেছেন-
লিভিংরুমের দুই আসনের সোফায় আমাকে বসিয়ে ম্যান্ডেলা চুমো খেয়ে চুলে বিলি
কেটে বলেছিলেন তুমি কি জানো তুমি কতো সুন্দর? আরেকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে
তিনি লিখেছেন- জোহানেসবার্গের তার এপার্টমেন্টে ম্যান্ডেলা তাকে দেখতে
এসেছিলেন। তিনি তখন তার জন্য নাস্তা তৈরি করছিলেন। কিন্তু ম্যান্ডেলার
ভালবাসার আহ্বান উপেক্ষা করায় তিনি সে নাস্তা না খেয়েই চলে গিয়েছিলেন। তিনি
লিখেছেন, ম্যান্ডেলা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় নিজের ভালবাসার কথা উল্লেখ করলেও
গ্রাকার সঙ্গে তিনি বিবাহিত ছিলেন বলে আমিনা ম্যান্ডেলাকে প্রত্যাখ্যান
করেছিলেন। ম্যান্ডেলার ভালবাসার ব্যাপারে তিনি বলেছেন, তার অনমনীয় ভালবাসার
কোন প্রতিদান আমি দিতে পারিনি। আমি তার প্রেমে পড়িনি। আমি তাকে ভালবাসতাম
তবে যেমনটা আমি ওই বয়সেও ইউসুফকে ভালবাসতাম সেভাবে ম্যান্ডেলাকে আমি
ভালবাসতে পারিনি।
No comments:
Post a Comment