
২০শে মার্চ কট্টর বৌদ্ধরা মধ্যাঞ্চলীয় মিখতিলা টাউনে দাঙ্গার সূত্রপাত করার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এরপর আরও অন্তত ১০টি শহর ও গ্রামে তারা দাঙ্গা বাঁধিয়েছে। মুসলিমবিরোধী উস্কানিতে উত্তেজিত হয়ে ওঠে সাধারণ বৌদ্ধরা। টেলিফোন, ফেইসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরিচালিত ‘৯৬৯ আন্দোলন’ এসব গুজব সাধারণ বৌদ্ধদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়। বুদ্ধ থেকে নেয়া এই তিনটি সংখ্যা বুদ্ধের বিভিন্ন রূপ প্রকাশ করে। এরমধ্যে তার শিক্ষা ও ভিক্ষুত্ব অন্যতম। কিন্তু মিয়ানমারে এটি মুসলিমবিরোধী জাতীয়তাবাদী উগ্রপন্থার প্রতিনিধিত্ব করছে। এই আন্দোলন বৌদ্ধদের মুসলিম পরিচালিত দোকানপাট ও সেবা বয়কট করার আহ্বান জানায়। চারদিন আগে থেকে সিত কউয়িনে সমস্যা শুরু হয়। ৩০টি মোটরসাইকেলে চড়ে বহিরাগত কিছু লোক গ্রামের ভেতর দিয়ে যেতে যেতে মুসলিম প্রতিবেশীদের বয়কট করার আহ্বান জানায়। এরপর তারা একটি মসজিদ ও মুসলিম মালিকানাধীন একসারি দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ধ্বংস করে। এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, গুজবে উত্তেজিত হয়ে তারা এখানে আসে। তিন বৌদ্ধভিক্ষুর নেতৃত্বে ত্রিশটি শক্তিশালী গোষ্ঠী শুক্রবার একটি মসজিদের দিকে রওনা হয় হলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশি বাধার মুখে ছুরি ও লাঠিধারী এসব দাঙ্গাকারী ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এরপর এ ধরনের আর কিছু হতে দেব না আমি, বলেন পুলিশ কমান্ডার ফোনি মিন্ত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য গতকাল পুলিশকে কর্তৃত্ব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তবে মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার বলেছেন, তারা মিখতিলার সামপ্রতিক সহিংসতায় রাষ্ট্রীয় যোগসাজশ থাকার অভিযোগ পেয়েছেন।
No comments:
Post a Comment