Wednesday, December 30, 2015

আন্তর্জাতিকভাবে ইন্ধন থাকতে পারে

বাংলাদেশে সম্প্রতি জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ বলেছেন, এর পেছনে হয়তো । গতরাতে প্রচারিত বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বলা হয়, ওই সাক্ষাতকারটি তিনি বঙ্গভবনে দেন। এতে তিনি বলেন, মসজিদে আক্রমণ কিংবা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের হুমকির এবং হামলার বিষয়গুলো বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। তিনি বলেন , ‘এটা আসলে আমাদের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত, কোনভাবে এটা বাংলাদেশ হতে পারে না। কারণ, আমরা হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই কিন্তু এ দেশকে স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম এবং এভাবেই তো দেশ চলছিল, কিন্তু হঠাৎ করে এটা দুঃখজনক।’ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম-প্রধান দেশে এক ধরনের অস্থিরতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেসব দেশের ঘটনা প্রবাহের আঁচ হয়তো বাংলাদেশেও পড়ছে। বাংলাদেশে সম্প্রতি জঙ্গি কর্মকা- বেড়ে যাবার পেছনে বিদেশী শক্তির সম্পৃক্ততার বিষয়টিকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘কারণ আপনি জানেন, বেশ কিছুকাল যাবতই চলছে, আফগানিস্তানে চলছে, এরপর পাকিস্তানে চলছে, এরপর ইরাকে চলছে এসব যুদ্ধ-টুদ্ধ বিভিন্ন ইলামিক কান্ট্রিতে চলছে, আমার মনে হয় ওখানের ঘটনা প্রবাহ পাশাপাশি মানে আন্তর্জাতিকভাবেও এর পেছনে কিছু ইন্ধন দেয়া- এগুলো হয়তো থাকতে পারে।’
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করছেন মো. আব্দুল হামিদ। বাংলাদেশে সম্প্রতি আশুরার সমাবেশ কিংবা কয়েকটি মসজিদে হামলার ঘটনা অনেকেই উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। মসজিদে হামলার মতো ঘটনাগুলো পাকিস্তানে হরহামেশাই দেখা যায়। প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি কখনোই পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের মতো হবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য রাজনৈতিক উসকানি থাকতে পারে বলে তিনি মনে করেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অনেকে অপচেষ্টা চালাতে পারে। কিন্তু আমি এখনো বিশ্বাস করি ,বাংলাদেশে-পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের মতো একটা জঙ্গি চেহারায় নিয়ে যেতে পারবে না।’ তিনি বলেন, কিছু কিছু রাজনৈতিক দল সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে। জঙ্গি কার্যক্রম বৃদ্ধির পেছনে সেসব দলের ধর্মীয় রাজনীতি উস্কানি দিতে পারে বলে তিনি ধারনা করছেন। তবে বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষই এসব কর্মকা-ে বিশ্বাস করে না বলে প্রেসিডেন্ট হামিদ মনে করেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে এটা কঠোরভাবে দেখতে হবে পাশাপাশি সামাজিকভাবেও সচেতনতা তৈরি করা।

No comments:

Post a Comment