তেরো বছর আটকে রেখে কিশোরী মেয়েদের ওপর চালানো হতো যৌন নির্যাতন। তাদের সঙ্গে ‘সেক্স সেøভ’ বা যৌনদাসীর মতো আচরণ করা হতো। বাধ্য করা হতো যৌনাচারে। এ অভিযোগে ৫ জন পুরুষ ও দু’জন নারীকে আটক করে বিচার করা হচ্ছে উত্তর ইংল্যা-ের শেফিল্ডে। গত শুক্রবার এ মামলার সর্বশেষ শুনানি হয়েছে। তাতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে একজন বলেছেন, তাকে ও অন্য মেয়েদের ক্যারেন ম্যাগ্রেগর তালাবদ্ধ করে রাখতো। তালা দিয়ে চাবি নিয়ে চলে যেত। ক্যারেনের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, সে মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করতো। তারপর তাদেরকে যৌনতার ফাঁদে ফেলতো। তাদেরকে তার কব্জায় এনে বয়স্ক মানুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করতো। সাক্ষ্য দেয়া ওই নারী যখন তার শিকারে পরিণত হয় তখন তিনি ছিলেন কিশোরী। বর্তমানে তার বয়স ৪৩ বছর। তিনি পুলিশকে বলেছেন, তার বাড়িতে নানা সমস্যা ছিল। তাই তিনি স্বস্তিতে বসবাসের জন্য ম্যাকগ্রেগরের কাছে চলে যান। সেখানে যাওয়ার পর ম্যাকগ্রেগর তাকে এলকোহল পানে বাধ্য করে। যতক্ষণ তিনি ঘুমিয়ে না পড়তেন ততক্ষণ তাকে এলকোহল পান করানো হতো। তারপর যখন তার ঘুম ভাঙতো তিনি দেখতে পেতেন তার ওপরে তার চেয়ে বয়সে অনেক বড় কোন এক পুরুষ আদিমতায় মেতে আছে। ওই নারী আদালতের শুনানিতেও এ কথা বলেছেন। উল্লেখ্য, ক্যারেন ম্যাকগ্রেগরও একজন নারী। সাক্ষী দেয়া নারী তাকে দ্বিতীয় মা বলে মনে করতেন। তাই তার কাছে ছুটে গিয়েছিলেন। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই ভাঙে তার ভ্রম। তিনি দেখতে পান ক্যারেন ম্যাকগ্রেগর আসলে দেহব্যবসার এক ফাঁদ পেতেছে। সাক্ষ্য দেয়া ওই নারী বলেছেন, তাকে দিয়ে পাশাপাশি বাসার সব কাজও করাতো ক্যারেন ম্যাকগ্রেগর। তাকে ও অন্য মেয়েদের বাসা থেকে বের হতে দেয়া হতো না। তিনি পুলিশকে বলেছেন, সব সময় আমাদেরকে দিয়ে বাসার কাজ করানো হতো। কার্পেট পরিষ্কার করানো হতো। পর্দা ধোয়ানো হতো। জানালা, সিঁড়ি পরিষ্কার করানো হতো। বিছানা পরিষ্কার করানো হতো। আমরা সবাই যেন সারাদিনের জন্য তার কাছে ছিলান কৃতদাস। আদালতের কাছে প্রসিকিউটররা বলেছেন, ক্যারেন ম্যাকগ্রেগরের ওই বাড়িতে কমপক্ষে ১২টি মেয়েকে ধর্ষণ, প্রহার করা হয়েছে। এসব মেয়ের বয়স ছিল ১২ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে আবার ৫ জন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ম্যাকগ্রেগরের বয়স এখন ৫৮ বছর। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ সহ তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
Sunday, December 27, 2015
যৌনদাসী
তেরো বছর আটকে রেখে কিশোরী মেয়েদের ওপর চালানো হতো যৌন নির্যাতন। তাদের সঙ্গে ‘সেক্স সেøভ’ বা যৌনদাসীর মতো আচরণ করা হতো। বাধ্য করা হতো যৌনাচারে। এ অভিযোগে ৫ জন পুরুষ ও দু’জন নারীকে আটক করে বিচার করা হচ্ছে উত্তর ইংল্যা-ের শেফিল্ডে। গত শুক্রবার এ মামলার সর্বশেষ শুনানি হয়েছে। তাতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে একজন বলেছেন, তাকে ও অন্য মেয়েদের ক্যারেন ম্যাগ্রেগর তালাবদ্ধ করে রাখতো। তালা দিয়ে চাবি নিয়ে চলে যেত। ক্যারেনের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, সে মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করতো। তারপর তাদেরকে যৌনতার ফাঁদে ফেলতো। তাদেরকে তার কব্জায় এনে বয়স্ক মানুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করতো। সাক্ষ্য দেয়া ওই নারী যখন তার শিকারে পরিণত হয় তখন তিনি ছিলেন কিশোরী। বর্তমানে তার বয়স ৪৩ বছর। তিনি পুলিশকে বলেছেন, তার বাড়িতে নানা সমস্যা ছিল। তাই তিনি স্বস্তিতে বসবাসের জন্য ম্যাকগ্রেগরের কাছে চলে যান। সেখানে যাওয়ার পর ম্যাকগ্রেগর তাকে এলকোহল পানে বাধ্য করে। যতক্ষণ তিনি ঘুমিয়ে না পড়তেন ততক্ষণ তাকে এলকোহল পান করানো হতো। তারপর যখন তার ঘুম ভাঙতো তিনি দেখতে পেতেন তার ওপরে তার চেয়ে বয়সে অনেক বড় কোন এক পুরুষ আদিমতায় মেতে আছে। ওই নারী আদালতের শুনানিতেও এ কথা বলেছেন। উল্লেখ্য, ক্যারেন ম্যাকগ্রেগরও একজন নারী। সাক্ষী দেয়া নারী তাকে দ্বিতীয় মা বলে মনে করতেন। তাই তার কাছে ছুটে গিয়েছিলেন। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই ভাঙে তার ভ্রম। তিনি দেখতে পান ক্যারেন ম্যাকগ্রেগর আসলে দেহব্যবসার এক ফাঁদ পেতেছে। সাক্ষ্য দেয়া ওই নারী বলেছেন, তাকে দিয়ে পাশাপাশি বাসার সব কাজও করাতো ক্যারেন ম্যাকগ্রেগর। তাকে ও অন্য মেয়েদের বাসা থেকে বের হতে দেয়া হতো না। তিনি পুলিশকে বলেছেন, সব সময় আমাদেরকে দিয়ে বাসার কাজ করানো হতো। কার্পেট পরিষ্কার করানো হতো। পর্দা ধোয়ানো হতো। জানালা, সিঁড়ি পরিষ্কার করানো হতো। বিছানা পরিষ্কার করানো হতো। আমরা সবাই যেন সারাদিনের জন্য তার কাছে ছিলান কৃতদাস। আদালতের কাছে প্রসিকিউটররা বলেছেন, ক্যারেন ম্যাকগ্রেগরের ওই বাড়িতে কমপক্ষে ১২টি মেয়েকে ধর্ষণ, প্রহার করা হয়েছে। এসব মেয়ের বয়স ছিল ১২ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে আবার ৫ জন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ম্যাকগ্রেগরের বয়স এখন ৫৮ বছর। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ সহ তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment