Monday, January 4, 2016

বাংলাদেশী অপহরণকারীর পরিকল্পনা নস্যাৎ মালয়েশিয়ায়

বাংলাদেশী দুই অপহরণকারীর পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছে মালয়েশিয়ার পুলিশ। ধরা পড়ে তাদের একজন। বাংলাদেশী যে অপহরণকারীকে তারা আটক করেছে তাদের নাম, ঠিকানা প্রকাশ করা হয় নি। গতকাল এ খবর দিয়েছে মালয়েশিয়ার বার্তা সংস্থা বারনামা। এতে বলা হয়েছে, কোটা টিঙ্গি এলাকায় একটি সুপারমার্কেট থেকে ইসমাইল আইয়ুব খান নামে এক রোহিঙ্গাকে অপহরণ করে ওই দুই বাংলাদেশী। এরপর তারা মুক্তিপণ দাবি করে। এ বিষয়ে শুক্রবার কোটা টিঙ্গি পুলিশে অভিযোগ করা হয়। ফলে পুলিশও ছদ্মবেশ ধরে। তারা ট্যাক্সিচালক সেজে অভিযানে নামে। মুক্তিপণের ৫০০০ রিঙ্গিত ও স্বর্ণালংকার নিয়ে অপহৃত রোহিঙ্গার ১১ বছর বয়সী ছেলে একটি ট্যাক্সিতে চড়ে। এ সময় ট্যাক্সির চালক সাজেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। আর একজন পুলিশ সদস্য ট্যাক্সির পিছনে সিটের আড়ালে লুকিয়ে থাকেন। রোহিঙ্গা ইসমাইল আইয়ুব খানের ছেলে অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে দুই অপহরণকারী তাতে চড়ে বসে। এ সময় পুলিশ তাদের একজনকে ধরে ফেলে। পালিয়ে যায় আরেকজন। ওদিকে অপহরণের রাতে ইসমাইল আইয়ুব খান (৩৪) তার দোকান বন্ধ করেন রাত আটটার দিকে। এরপরই তার সামনে হাজির হয় বাংলাদেশী দুই ব্যক্তি। কোটা টিঙ্গি পুলিশ প্রধান রহমত ওথম্যান বলেন, দুই অপহরণকারীই ইসমাইলের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। তার ট্যাক্সিকে তামান পাসাক ইনডাহ পর্যন্ত চালিয়ে নিতে বাধ্য করে। যখন তারা একটি একটি পামওয়েল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছে তখন তারা ইসমাইলকে বেঁধে ফেলে। এরপর তারা ইসমাইলের স্ত্রীকে ফোন করে ১০ হাজার রিঙ্গিত মুক্তিপণ দাবি করে। কিন্তু ৫ হাজার রিঙ্গিতে সমঝোতা হয়। সঙ্গে স্বর্ণালংকারও দেয়ার কথা হয়। এরপর অপহরণকারীরা ইসমাইলের স্ত্রীকে বলে অর্থ ও স্বর্ণালংকার তার বড় ছেলের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে। যদি তা না হয় তাহলে তারা ইসমাইলকে হত্যার হুমকি দেয়। 

No comments:

Post a Comment