হলিউডের কোন ব্লকবাস্টর হরর ছবি নয়। ‘টুলাইট’ ‘ড্রাকুলা’ ‘ভ্যাম্পার ডায়েরিস’ নয়। সত্যি সত্যি ড্রাকুলার মতো এক নারীর সন্ধান মিলেছে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে। তার বয়স ৩৮ বছর। তার প্রেমিকের ক্ষত থেকে সরাসরি রক্ত চুষে পান করেছে সে। তাতে তাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়া ফলাও করে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, একবার দু’বার নয় প্রতি সপ্তাহে একবার সে তার প্রেমিকের ক্ষত থেকে তার তাজা রক্ত চুষে পান করে। এতেই তার সবচেয়ে আনন্দ বলে জানিয়েছে ওই নারী। তার নাম জর্জিনা কনডন। এরই মধ্যে তাকে সবাই ব্রিসবেনের ভ্যাম্পায়ার নারী ডাকা শুরু করেছে। মাত্র ১৭ বছর বয়স যখন তখনই সে তাজা রক্তের স্বাদ পায় প্রথমে এক নারীর দেহ থেকে। রক্ত পান করে তিনি সবচেয়ে আনন্দিত বোধ করেন। তার নেশা মেটে। এভাবে নেশা মেটাতে তিনি এক পর্যায়ে গোথ ক্লাব ও ভ্যাম্পায়ার বলে যেতে থাকেন। সেখানে খোঁজেন আরও রক্তদাতাকে। ‘টুইলাইট’ ‘ট্রু ব্লাড’ অথবা ‘ভ্যাম্পায়ার ডায়েরিস’ মুক্তি পাওয়ার আগেই তিনি এই নেশা মেটাতে মত্ত হয়ে ওঠেন। বলেন, বলতে পারেন অনেকটা শৈশব থেকেই আমার রক্তপিপাসা শুরু। প্রথম দিকে তিনি নিজের শরীর কেটে সেখান থেকে রক্ত পান করতেন। বয়স যখন ১২তে পৌঁছায় তখন তার মধ্যে রক্ত পিপাসা বাড়তে শুরু করে। কনডন পরেন কালো পোশাক। মুখে মাখেন ট্যালকম পাউডার। তার বন্ধুরা এতে তাকে উদ্ভট দেখায় বললেও তিনি নিজের মাঝে পুষে রাখেন গোপনে এক ভ্যাম্পায়ার। কনডন বলেছেন, প্রথমে বেশ কয়েক বছর আমি আমার নিজের রক্ত পান করেছি। তারপর যোগ দিই গোথ ক্লাব ও ভ্যাম্পায়ার বলস-এ। সেখানে তিনি দেখতে পান অনেক পুরুষ তার দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে যখন তারা জানতে পারে যে কনডন নিজে একজন ভ্যাম্পায়ার। পার্টনার জামায়েল সম্পর্কে কনডন বলেন, তার সঙ্গে আমার জানাশোনা দু‘বছরের। প্রথমে জামায়েল ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন যখন কনডন তাকে নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ভ্যাম্পার সম্পর্কে বলেছিলেন। জামায়েল সূচ ও ছুরিতে ভীষণ ভয় পেতেন। তবে এক পর্যায়ে তিনি রক্ত পান করতে দিতে রাজি হন। কিভাবে একজোড়া ভ্যাম্পায়ার খাবার খায় এ প্রশ্নের জবাবে কনডন বলেন, তিনি কামড়ে রক্ত বের করার চেয়ে বেশির ভাগ সময় রেজর বা অন্য কোন কিছু দিয়ে চামড়া কাটেন। সেখান দিয়ে যখন রক্ত প্রবাহিত হয় তিনি তখন তা পান করেন। এ নেশা সম্পর্কে তিনি সতর্ক করেছেন। বলেছেন, এ নেশা অতিরিক্ত হয়ে গেলে বিপদ। জামায়েল বাদে অন্য কেউ যদি রক্ত পান করতে দেয় তাহলে তাতেও তার কোন আপত্তি নেই। তবে প্রতি সপ্তাহে তিনি একবার জামায়েলের রক্ত পান করে তৃপ্ত হন। কনডন বলেন, যখনই আমি তার রক্ত পান করতে চাই তখন তাতে কোন আপত্তি করে না সে। সে যেন নিজেকে আমার কাছে সমর্পণ করে দিয়েছে।
No comments:
Post a Comment