লিবিয়ার সাবেক শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল ইসলামকে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কাছে হস্তান্তর করবে না বর্তমান লিবিয়া সরকার। রোববার আইনমন্ত্রী আলি আশর এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, সাইফের বিচার দেশের আদালতেই হবে। লিবিয়ার আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির সঙ্গে সাইফ আল ইসলামের বিচার বিষয়ে আলোচনা করতে আন্তর্জাতিক আদালতের একটি প্রতিনিধি দল ত্রিপোলিতে গেছেন। তাদের সঙ্গে আলাপের সময় আশর বলেন, গত বছর জিনতান বিদ্রোহীদের হাতে সাইফ ধরা পড়ার পর তাদের হাতেই গোপন কারাগারে আটক রয়েছেন। সাইফের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি, হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগের বিচার লিবিয়ার বিচারকরাই করবেন। সাইফকে বিচারের জন্য হেগে পাঠানোর ব্যাপারে আইসিসি’র দাবি সত্ত্বেও আশর বলেন, সাইফকে আইসিসি’র কাছে হস্তান্তর করার কোন ইচ্ছে সরকারের নেই। তার বিচারের জন্য সিরিয়ার আইনই যথেষ্ট। আইসিসি’র পক্ষ থেকে সাইফের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন। আশর বলেন, যেসব সেনা সাইফের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত, তাদের সঙ্গেই তিনি খাওয়া-দাওয়া করেন। সাইফ বেশ ভাল আছেন। নিরপেক্ষ বিচারের জন্য হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে সাইফকে পাঠানোর জন্য লিবিয়াকে চাপ দিচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। আইসিসি প্রতিনিধি দলকে আশর আরও জানান, সাইফের জন্য ত্রিপোলিতে কারাগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাকে ত্রিপোলিতে নেয়ার জন্য জিনতানের বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনাও চলছে। তবে আইসিসি বলছে, সাইফের বিচার তাদের আওতায় রয়েছে। কেননা, গত বছর মুয়াম্মার গাদ্দাফি, সাইফ আল ইসলাম ও গোয়েন্দা প্রধান আবদুল্লাহ আল সেনুসির বিরুদ্ধে আইসিসি পরোয়ানা জারি করেছিল। গত বছর বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়ার পর নিহত হন মুয়াম্মার গাদ্দাফি। গোয়েন্দা প্রধান সেনুসি বর্তমানে মৌরিতানিয়ায় আটক রয়েছেন। এদিকে সাইফকে আন্তর্জাতিক আদালতের হাতে তুলে না দিলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে লিবিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার হুমকি দিয়ে সাইফকে ওই আদালতের হাতে তুলে দিতে আহ্বান জানিয়েছে এ পরিষদ। লিবিয়ার আইনে সাইফের বিচার হলে তার সম্ভাব্য শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।
তবে আন্তর্জাতিক আদালতে তার সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে যে কোন মেয়াদের কারাদণ্ড।
No comments:
Post a Comment