নিজ স্বামীর গায়ে আগুন দিয়ে পোড়ানো ও তারপর বাথরুমে আটক রাখার
অভিযোগে ২৯ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নারী শ্রেয়া বিমান প্যাটেলকে
গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শ্রেয়াকে বর্তমানে প্রথম শ্রেণীর মরাত্মক অপরাধ
সংগঠন, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগের অপরাধে ১০ লাখ ডলারের বন্ড হেফাজতে
অস্টিনের ট্র্যাভিস জেলা কারাগারে আটক রাখা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করা ওই ভিকটিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে রয়েছে। গায়ে আগুন
দেয়ার পর বাথরুমে আটক রাখায় তার শরীরের তিন ডিগ্রি পর্যন্ত পুড়ে যায়।
ভিকটিম বর্তমানে স্যান অ্যান্টিনোর ব্রুক আর্মি মেডিকেল সেন্টারে
চিকিৎসাধীন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে করে তাকে হাসপাতালে
নেয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে নর্থ অস্টিনের ম্যাট্রিক ম্যাট্রিক এভিনিউর পার্মার
লেনের কাছের একটি অ্যাপার্টমেন্টে। পুলিশ ও অগ্নিবিষয়ক কর্মকর্তারা বিষয়টির
তদন্ত শুরু করেছেন। এ দম্পতি বিয়ে করেছেন মাত্র এক বছর হলো। শ্রেয়া এ
ঘটনার মাত্র ৭ দিন আগে ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। তদন্ত কর্মকর্তারা
বলছেন, ঘটনার সময় ভিকটিমের স্ত্রী অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরেই ছিলেন।
প্রতিবেশী রাতান রাজেন্দ্র বলেছেন, ঘটনার আগে তিনি পাশের ফ্ল্যাট থেকে
তর্কের আওয়াজ শুনেছেন। ভিকটিম স্বামী পুলিশকে বলেছেন, তার স্ত্রী তাকে
ম্যাসাজ করে দিচ্ছিলেন। এমন সময় তিনি তার শরীরে গ্যাসোলিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে
দেন। অন্যদিকে স্ত্রীর দাবি স্বামী নিজেই শরীরে গ্যাসোলিন ঢেলে আগুন দেন।
তদন্ত কর্তারা বলছেন, আগুন লাগিয়ে দেয়ার মামলা অনেক দেখলেও এমন মারাত্মক
অপরাধ এর আগে তারা আর দেখেননি। তারা বলছেন, শ্রেয়া নিজেই আগুন ধরিয়েছেন ও
আগুন নেভাতে অন্যকে বাধা দিয়েছেন এমন প্রমাণ পেয়েছেন তারা। ঘটনার সময়
ফ্ল্যাটের অগ্নি এলার্ম অকার্যকর ছিল। প্লাস্টিক ব্যাগ দিয়ে বন্ধ করা ছিল
ফ্লাটের পর্যবেক্ষণ ছিদ্রও। এদিকে চেইন শপ ‘ওয়ালমার্টের’ পর্যবেক্ষণ
ভিডিওতে দেখা যায় শ্রেয়া ঘটনায় ব্যবহৃত দ্রব্যগুলো কিনছেন।
No comments:
Post a Comment