Source: http://www.mzamin.com/index.php?option=com_content&view=article&id=41686:2012-04-25-15-00-38&catid=46:2010-08-29-13-50-00&Itemid=77
বিখ্যাত বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের আবিষ্কার ও অবদান সম্পর্কে নতুন কিছু বলার নেই। কিন্তু, বিরল এ প্রতিভাধর ব্যক্তির জীবনের একটি অধ্যায় হয়তো অনেকেরই অজানা। আইনস্টাইন ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে ব্যর্থ স্বামী। ব্যক্তিগত জীবনে একেবারেই অসফল ছিলেন তিনি। অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর দিয়ে জানিয়েছে, ওয়াল্টার ইসাকসনের লেখা ‘আইনস্টাইন: হিজ লাইফ অ্যান্ড ইউনিভার্স’ নামক নতুন এক গ্রন্থে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। কিছুটা চমকে দেয়ার মতো খবরই বটে। এতে বলা হয়েছে, ভালবাসার সম্পর্ককে অনেকটাই কঠোর শর্ত ও নিয়মের বেড়াজালে বেঁধে ফেলেছিলেন তিনি। খুব বেশি বাস্তববাদী হওয়ায়, প্রেম কখনও তার কাছে মধুর হয়ে ওঠেনি। বিয়ে করেছিলেন নারী বিজ্ঞানী মিলেভা ম্যারিককে। তিনিই তার প্রথম স্ত্রী। ১১ বছরের দাম্পত্য সম্পর্কে যখন সুখের খোঁজ পেলেন না, বিচারকের মতোই জারি করে দিলেন একের পর এক নিষ্ঠুর নিয়ম। ভাবলেন তাদের সন্তানের খাতিরেই দু’জনের সম্পর্ক টিকে থাকবে। আইনস্টাইন তার কঠোর নিয়মের যে তালিকাটি তৈরি করেছিলেন, তাতে তার স্ত্রী মিলেভাকে দাসির মতোই রাখা হয়েছিল। কোন স্নেহের বন্ধন সেখানে থাকবে না। ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, দিনের তিনটি নির্দিষ্ট সময়ে খাবার পরিবেশন, আইনস্টাইনের জামাকাপড় অন্যান্য কাপড়-চোপড় সবসময় পরিপাটি করে রাখা, তার শোবার ও পড়ার ঘর দু’টি ঝকঝকে-তকতকে রাখা আরও কত কি ছিল সে তালিকায়। এখানেই শেষ নয়। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের কোন বন্ধনই সেখানে থাকবে না। ঘনিষ্ঠভাবে মেশা তো দূরের কথা। আইনস্টাইন নিজে না চাইলে, তার সঙ্গে কথা বলা বারণ ছিল। তিনি চাইলে, কোন প্রতিবাদ না করে মুহূর্তেই তার শোবার ঘর বা পড়ার ঘর ছেড়ে দ্রুত চলে যেতে হবে মিলেভাকে। সন্তানদের সামনে তাকে এমন কিছু বলা বা করা যাবে না, যা তার আত্মসম্মানে আঘাত হানে। অবশ্য বেশিদিন এসব সহ্য করতে পারেননি মিলেভা। সব ধরনের দাম্পত্য সম্পর্ক ছিন্ন করে, সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে আইনস্টাইনকে তার বার্লিনের বাড়িতে একা ফেলে গিয়েছিলেন। পরে অবশ্য বিয়ে করেছিলেন আইনস্টাইন। কিন্তু সুখ কখনও তার কাছে ধরা দেয়নি।
No comments:
Post a Comment