
একটি আপত্তিকর সিডিকে কেন্দ্র করে সমালোচনার প্রেক্ষাপটে পদত্যাগ করেছেন ভারতের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পার্টির মুখপাত্র এবং আইন ও বিচার বিভাগীয় পার্লামেন্টারি প্যানেল প্রধান পার্লামেন্ট সদস্য অভিষেক মানু সিংভি। তিনি এক বিবৃতিতে সোমবার দুই পদ থেকে নিজেই পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন। এতে তিনি বলেছেন, তার কারণে পার্লামেন্ট অধিবেশনে সামান্যতমও যেন বিঘ্নিত না হয় সেজন্যই তিনি পদত্যাগ করেছেন। তবে তার এ পদত্যাগের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দাবি করেছে বিরোধী দল বিজেপি। বিজেপি নেতা অরুন জেটলি বলেছেন, লোকপাল বিলের দায়িত্বে নিয়োজিত পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধানের পদ থেকে তিনি কেন পদত্যাগ করলেন সেটা পার্লামেন্টে তার ব্যাখ্যা করা উচিত। আমরা আশা করছি, এ ব্যাপারে অচিরেই তিনি ব্যাখ্যা দেবেন। বিতর্কিত ওই সিডিতে সিংভিকে বলতে শোনা যায়- কখন আপনি বিচারপতি হতে যাচ্ছেন? এর পরের সংলাপ কি তা কেউ জানে না। তবে এতে যৌনতা আছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। এ নিয়েই পানি ঘোলা হয়ে উঠেছে। কংগ্রেসে এমপি সিংভি বিবৃতিতে বলেছেন, সামাজিক মিডিয়ায় হওয়া অনৈতিক কথোপকথনের ওই সিডির ব্যাপারে ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে। এ তথ্য কোন মূলধারার গণমাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরই এ নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তিনি গণমাধ্যমে কোন বক্তব্য দেবেন না। সিংভি বলেছেন, আমার ব্যাপারে সিডি সংক্রান্ত যে অভিযোগ উঠেছে সেটা নিয়ে পার্লামেন্টের অধিবেশন যাতে বিন্দুমাত্র ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্যই আমি পদত্যাগ করেছি। দলের একজন নিষ্ঠাবান যোদ্ধা হিসেবে আমি মনে করি, এ ব্যাপারে দলকে কোন বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন করা ঠিক নয়। আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। প্রখ্যাত আইনজীবী সিংভি কেবল কানকথা আর গুজবের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আনার জন্য গণমাধ্যমের একটি অংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের প্রধান জনার্ধন দেওভেদি বলেছেন, দলের পক্ষ থেকে সিংভির পদত্যাগ চাওয়া হয়েছে নাকি তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন সেটা মুখ্য বিষয় নয়। তিনি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। তবে দলের মুখপাত্র রশিদ আলভি বলেছেন, ওই সিডি প্রকাশে আদালত নিষেধাজ্ঞা আরোপ সত্ত্বেও সিংভি নৈতিক কারণে তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। গুজরাট এবং কর্নাটক পার্লামেন্টের ভেতরে বিজেপির সদস্য এবং মন্ত্রীরা পর্নোছবি দেখেছেন বলে অভিযোগ করে আলভি বলেছেন, নৈতিকতার ব্যাপারে বিজেপির কোন পরামর্শ দেয়া সাজে না।
No comments:
Post a Comment