আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হবেন পার্লামেন্ট সদস্য ফাউজিয়া কোফি। আগামী ২০১৪ সালে এই নির্বাচন হওয়ার কথা। আফগানিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের স্থলাভিষক্ত হতে প্রচারণা শুরু করার পর থেকেই ৩৬ বছর বয়সী ফাউজিয়া কোফি ও তার পরিবারকে সম্মুখীন হতে হয় বিরোধীদের বিভিন্ন অত্যাচার, হুমকি আর চাপের। আফগানিস্তানের সংবিধান অনুসারে ধারাবাহিকভাবে দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার পর হামিদ কারজাইকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে বলে দাবি তোলেন ফাউজিয়া। ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথম নাম ঘোষণাকারী আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাদকাশান প্রদেশের এ রাজনীতিবিদ বলেন, আমি জানি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য আমার প্রচারণা গোলযোগপূর্ণ হবে। এর জন্য আমার কপালে অনেক ভোগান্তিও আছে। এছাড়াও তিনি কারজাই প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিরোধীতার সম্মুখী হবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। মনে করা হচ্ছে, তার এ পদক্ষেপ আফগানিস্তানে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে। কেননা একটি কট্টর রক্ষণশীল দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ কখনই নারী নেতৃত্বকে সমর্থন করে না। তিনি ২০০৫ সালে নির্বাচনে একজন পুরষ প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে দেশটিতে নারী পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর পর ২০১০ সালে তিনি আবারো পার্লামেন্ট সদস্য হন। তিনি দেশটির পার্লামেন্টের প্রথম নারী ডেপুটি স্পিকারও নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি কয়েকবার তালেবান জঙ্গি ও হাক্কানি জঙ্গি গোষ্ঠীর হামেলা থেকে বেঁচে গেছেন।
Sunday, April 15, 2012
আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হচ্ছেন ফাউজিয়া
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হবেন পার্লামেন্ট সদস্য ফাউজিয়া কোফি। আগামী ২০১৪ সালে এই নির্বাচন হওয়ার কথা। আফগানিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের স্থলাভিষক্ত হতে প্রচারণা শুরু করার পর থেকেই ৩৬ বছর বয়সী ফাউজিয়া কোফি ও তার পরিবারকে সম্মুখীন হতে হয় বিরোধীদের বিভিন্ন অত্যাচার, হুমকি আর চাপের। আফগানিস্তানের সংবিধান অনুসারে ধারাবাহিকভাবে দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার পর হামিদ কারজাইকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে বলে দাবি তোলেন ফাউজিয়া। ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথম নাম ঘোষণাকারী আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাদকাশান প্রদেশের এ রাজনীতিবিদ বলেন, আমি জানি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য আমার প্রচারণা গোলযোগপূর্ণ হবে। এর জন্য আমার কপালে অনেক ভোগান্তিও আছে। এছাড়াও তিনি কারজাই প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিরোধীতার সম্মুখী হবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। মনে করা হচ্ছে, তার এ পদক্ষেপ আফগানিস্তানে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে। কেননা একটি কট্টর রক্ষণশীল দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ কখনই নারী নেতৃত্বকে সমর্থন করে না। তিনি ২০০৫ সালে নির্বাচনে একজন পুরষ প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে দেশটিতে নারী পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর পর ২০১০ সালে তিনি আবারো পার্লামেন্ট সদস্য হন। তিনি দেশটির পার্লামেন্টের প্রথম নারী ডেপুটি স্পিকারও নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি কয়েকবার তালেবান জঙ্গি ও হাক্কানি জঙ্গি গোষ্ঠীর হামেলা থেকে বেঁচে গেছেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment