Tuesday, April 3, 2012

দুবাইতে বাংলাদেশীর সাজা, বহিষ্কারাদেশ বহাল


একজন ফিলিপাইনি গৃহপরিচারিকাকে যৌন হয়রানির দায়ে এক বাংলাদেশীর তিন মাস সাজা ও সাজার পর দুবাই থেকে বহিষ্কারের আদেশ বহাল রেখেছেন দুবাইর এক আপিল আদালত। এর আগে জোরপূর্বক যৌন হয়রানি ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ওই বাংলাদেশীকে তিন মাসের সাজা ও বহিষ্কারের আদেশ দেয়া হয়েছিল। আদালত সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম ফিলিপাইনি গৃহপরিচারিকা এসএমএম ২৫ (ছদ্মনাম) কে বাংলাদেশী গৃহপরিচারক এমইএম ২৫ (ছদ্মনাম) এরসঙ্গে মেডিকেল চেকআপের জন্য আউদ আল মুতিনা মেডিকেল সেন্টারে পাঠানো হয় গত বছরের ১১ই সেপ্টেম্বর। মেডিকেলের কাজ শেষ করে ফেরার সময় এমইএম তার সঙ্গে কিছুক্ষণের জন্য এক জায়গায় যেতে অনুরোধ করে এসএমএমকে। তখন সরল বিশ্বাসে ভিকটিম তার সঙ্গে গেলে তিনি তাকে একটি অপরিচিত ভবনের একটি ফ্লাটে নিয়ে যান। সেখানে একজন বাংলাদেশী ছিল। এমইএম তার সঙ্গে কিছু বলার পর তিনি তাদের রেখে বাইরে চলে যান। তারপর দরজা লাগিয়ে দেন এমইএম। এবং তাকে জোর করে যৌন নিপীড়ন করা শুরু করেন। বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
তখন ভিকটিম তাকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে দৌড়ে গিয়ে বাথরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে এমইএম বাইরে থেকে অনুনয় করে বলেন, তিনি তাকে কিছুই করবেন না। তিনি যেন এ ব্যাপারে তাদের স্পন্সরকে কিছু না জানান। এতে বাথরুমের দরজা খুলে দেন ভিকটিম। পরে বাসায় এসে স্পন্সরকে বলেননি ভিকটিম। কিন্তু তিনি ওই বাসার অন্য গৃহপরিচারিকা ইথিওপিয়ার হালিমাকে বিষয়টি বলেন। হালিমা আদালতে বলেন, ফিরে এসে অনেক কাঁদছিল এসএমএম। কিছু বলছিল না। পরে তিনি জোর করলে সে তাকে ঘটনা জানায়। এদিকে যার বাসায় এসএমএমকে নিয়ে গিয়েছিল এমইএম ওই বাসার অধিবাসী বাংলাদেশী সেলসম্যান মোহাম্মদ আফজাল বলেন, এমইএম আমাকে বলেছে তার সঙ্গে একজন স্টাফ আছে তারা একটু রেস্ট করবে। তাই আমি বাসা ছেড়ে বেরিয়ে যাই। ভেতরে কি হয়েছে আমি জানি না। পরে বিষয়টি তাদের স্পন্সরের স্ত্রীকে জানান হালিমা। স্পন্সরের স্ত্রী ঘটনা পুলিশকে জানালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

No comments:

Post a Comment