সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সৌদি আরবে প্রবেশের সময় সীমান্তে আটকা পড়েছে কয়েক হাজার ট্রাক। এর মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশী ট্রাকচালকের ট্রাকও। এতে ওই সীমান্তে ২২ কিলোমিটারেরও বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল অনলাইন গালফ নিউজ এ খবর দিয়ে আরও জানায়, গতকাল স্থানীয় সময় বিকাল ২টায় আল সিলা মহাসড়কে ২২ কিলোমিটারের ওই যানজট সৃষ্টি হয়। একজন ট্রাকচালক আবদুর রশিদ বলেন, এ অবস্থায় আমাদের করার কিছুই নেই। আরব আমিরাতের পাশে কোন সমস্যা নেই। সমস্যা হলো সৌদি আরবের কাস্টমস। তারাই বিলম্ব করাচ্ছে। এ জন্য সৌদি আরবে ট্রাকগুলো প্রবেশ করতে অনেক সময় লাগছে। আবদুর রশিদের বাড়ি বাংলাদেশে। তিনি দুবাই থেকে কাতারের উদ্দেশে মেশিন লুব্রিকেন্ট নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি শনিবার রাতে দুবাই ছেড়ে এসেছেন। তাকে গতকালও সৌদি আরবে কাস্টমসে কাটাতে হতে পারে। আজ তিনি সৌদি কর্মকর্তাদের কাছে তার কাগজপত্র প্রদর্শন করতে পারবেন। তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি নিজের হাতে ফেরত পাবেন বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার। তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ তারপরই আমি কাতারের দিকে যাত্রা করতে পারবো। যদি কপাল ভাল হয় তাহলে তিনি আগামী শনিবার তার ট্রাক আনলোড করতে পারবেন। তাকে এ ট্রিপের জন্য ভাড়া ধরা হয়েছে ৩০০ দিরহাম। সাধারণত এমন চালান আনা-নেয়া করতে তার তিন দিন সময় লাগে। কিন্তু এবার সে সময়ের পরিধি অনেক বেশি। আবদুর রশিদ বলেন, এমন অবস্থায় আমরা ট্রাক নিয়ে বসে আছি। দেখছি। করতে পারছি না কিছুই। সমস্যা তো সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিকে নয়। সমস্যা সৌদি আরবের কাস্টমসে। তারা চেকআপে বিলম্ব করছে। সেলিম নামে আরেক ট্রাক চালক বলেছেন, সীমান্তে আমরা আটকা পড়েছি। প্রতি বছরই এমন সমস্যা হয়ে থাকে। এখানে আটকা পড়ায় আমারা গোসল করতে পারছি না। আমরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় আছি। আমাদের পকেটের অর্থ খরচ হচ্ছে। আগে যদি আমরা দুবাই থেকে মাসে ৭টি ট্রিপ মারতে পারতাম। এখন কপাল ভাল হলে তা মাসে ৪টি হতে পারে। এভাবে হলে আমরা বাঁচব কিভাবে। এমন হলে আমরা আমাদের বেতনের অর্ধেক পাচ্ছি। ভারতীয় ট্রাকচালক গোপালও রয়েছেন তাদের মধ্যে। তিনি বলেন, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে তিনি গত ৩০ বছর ট্রাক চালাচ্ছেন। কিন্তু এমনতরো বিলম্বের জন্য তিনি এখন বিরক্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, এখন ভাবছি অবসরে যাব। ফিরে যাব গ্রামের বাড়ি। সেখানে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়েতো দিন কাটাতে পারবো।
Tuesday, April 3, 2012
সৌদি কাস্টমসে জটিলতা, দুবাই-সৌদি সীমান্তে দীর্ঘ ট্রাকজট
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সৌদি আরবে প্রবেশের সময় সীমান্তে আটকা পড়েছে কয়েক হাজার ট্রাক। এর মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশী ট্রাকচালকের ট্রাকও। এতে ওই সীমান্তে ২২ কিলোমিটারেরও বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল অনলাইন গালফ নিউজ এ খবর দিয়ে আরও জানায়, গতকাল স্থানীয় সময় বিকাল ২টায় আল সিলা মহাসড়কে ২২ কিলোমিটারের ওই যানজট সৃষ্টি হয়। একজন ট্রাকচালক আবদুর রশিদ বলেন, এ অবস্থায় আমাদের করার কিছুই নেই। আরব আমিরাতের পাশে কোন সমস্যা নেই। সমস্যা হলো সৌদি আরবের কাস্টমস। তারাই বিলম্ব করাচ্ছে। এ জন্য সৌদি আরবে ট্রাকগুলো প্রবেশ করতে অনেক সময় লাগছে। আবদুর রশিদের বাড়ি বাংলাদেশে। তিনি দুবাই থেকে কাতারের উদ্দেশে মেশিন লুব্রিকেন্ট নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি শনিবার রাতে দুবাই ছেড়ে এসেছেন। তাকে গতকালও সৌদি আরবে কাস্টমসে কাটাতে হতে পারে। আজ তিনি সৌদি কর্মকর্তাদের কাছে তার কাগজপত্র প্রদর্শন করতে পারবেন। তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি নিজের হাতে ফেরত পাবেন বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার। তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ তারপরই আমি কাতারের দিকে যাত্রা করতে পারবো। যদি কপাল ভাল হয় তাহলে তিনি আগামী শনিবার তার ট্রাক আনলোড করতে পারবেন। তাকে এ ট্রিপের জন্য ভাড়া ধরা হয়েছে ৩০০ দিরহাম। সাধারণত এমন চালান আনা-নেয়া করতে তার তিন দিন সময় লাগে। কিন্তু এবার সে সময়ের পরিধি অনেক বেশি। আবদুর রশিদ বলেন, এমন অবস্থায় আমরা ট্রাক নিয়ে বসে আছি। দেখছি। করতে পারছি না কিছুই। সমস্যা তো সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিকে নয়। সমস্যা সৌদি আরবের কাস্টমসে। তারা চেকআপে বিলম্ব করছে। সেলিম নামে আরেক ট্রাক চালক বলেছেন, সীমান্তে আমরা আটকা পড়েছি। প্রতি বছরই এমন সমস্যা হয়ে থাকে। এখানে আটকা পড়ায় আমারা গোসল করতে পারছি না। আমরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় আছি। আমাদের পকেটের অর্থ খরচ হচ্ছে। আগে যদি আমরা দুবাই থেকে মাসে ৭টি ট্রিপ মারতে পারতাম। এখন কপাল ভাল হলে তা মাসে ৪টি হতে পারে। এভাবে হলে আমরা বাঁচব কিভাবে। এমন হলে আমরা আমাদের বেতনের অর্ধেক পাচ্ছি। ভারতীয় ট্রাকচালক গোপালও রয়েছেন তাদের মধ্যে। তিনি বলেন, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে তিনি গত ৩০ বছর ট্রাক চালাচ্ছেন। কিন্তু এমনতরো বিলম্বের জন্য তিনি এখন বিরক্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, এখন ভাবছি অবসরে যাব। ফিরে যাব গ্রামের বাড়ি। সেখানে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়েতো দিন কাটাতে পারবো।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment