
মিনিস্কার্ট নিষিদ্ধ হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ায়। এর কারণ, মিনিস্কার্ট পরা
মেয়েদের দেখলে পুরুষদের বিকৃত বাসনার উদ্রেক হয়- এমনটা মনে করেন দেশটির
রাজনীতিবিদরা। তাদের মধ্যে আছেন প্রেসিডেন্ট, পার্লামেন্টের স্পিকার ও ধর্ম
বিষয়ক মন্ত্রী। পর্নোগ্রাফি বিরোধী আইনের অধীনে তাই এ ধরনের স্কার্ট
নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। ওই দেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী সুরাইয়াধরনা আলী বলেছেন,
কোন মেয়ে যদি হাঁটুর ওপরে স্কার্ট পরে তাহলে সে পর্নোগ্রাফির ধারণা ছড়িয়ে
দিচ্ছে বলে ধরে নেয়া হবে। তিনি গত মাসের শুরুর দিকে মিনিস্কার্টের বিরুদ্ধে
যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এর পরপরই তিনি ইন্দোনেশিয়ায় পর্নোগ্রাফি বিরোধী একটি
টাস্কফোর্স গঠন করেছেন।
ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার মারজুকি আলীও এরই মধ্যে একই ধরনের
মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। তিনি ওইসব মহিলা রাজনীতিবিদের সমালোচনা করেন, যারা
হাঁটুর ওপরে পর্যন্ত স্কার্ট পরেন। এজন্য নারী রাজনীতিবিদ ও স্টাফ সদস্যরা
যাতে মিনিস্কার্ট পরতে না পারেন সে জন্য একটি আইনের খসড়া তৈরিতে ব্যস্ত
রয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, মিনিস্কার্টের কারণে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে।
ঘটছে সব অনৈতিক কর্মকাণ্ড। এসব ঘটছে নারীরা যথাযথ পোশাক না পরার কারণে।
তিনি বলেন, আপনি জানেন- যখন ওরকম পোশাক পরে নারীরা প্রলোভিত করে তখন
পুরুষদের মাথায় বিকৃত চিন্তা আসে। পর্নোগ্রাফি দেশ থেকে একেবারে দূর করতে
প্রেসিডেন্ট সুসিলো বামবাং ইয়োধোইয়োনো এরই মধ্যে দেশে পর্নোগ্রাফি বিরোধী
টাস্কফোর্স গঠন করেছেন। এ দেশটিতে রয়েছে বিশ্বের ২১ ভাগ মুসলমান। কিন্তু
নিজস্ব ধরনের ধর্মীয় পোশাক ও সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে নারীরা পোশাক পরলেও
তারা ইদানীং পশ্চিমা পোশাকের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। রাজধানী জাকার্তার
নৈশক্লাবগুলোতে সর্বত্রই দেখা মেলে মিনিস্কার্ট পরা নারী।
No comments:
Post a Comment