
Source: The daily Manabzamin
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী ও নবনির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য অং সান সু চি ২৪ বছর পর এবারই প্রথম বারের মতো বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। শান্তিতে নোবেল জয়ী সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)’র পক্ষ থেকে গতকাল জানানো হয়েছে, নরওয়ে ও বৃটেনের আমন্ত্রণে জুন মাসে তিনি এ সফরে যাবেন। এনএলডি’র মুখপাত্র নিয়ান উইন বলেছেন, বৃটেন সফরকালে সু চি অক্সফোর্ডে যাবেন। ১৯৭০-এর দশকে তিনি সেখানে লেখাপড়া করেছেন। নিয়ান উইন বলেন, আমি এখনও সফরের নির্দিষ্ট সময় জানি না। এছাড়া, কোন দেশে সু চি প্রথমে যাবেন সে সম্পর্কেও তিনি কিছু জানেন না। তবে সু চি প্রথমে নরওয়ে সফরে যাবেন বলে এর আগে জানিয়েছিলেন। মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ৬৬ বছর বয়সী নেত্রী অং সান সু চিকে ১৯৮৯ সালে প্রথমবারের মতো আটক করা হয়। ২০১০ সালের নভেম্বরে মুক্তি পাওয়ার আগে ২১ বছরের মধ্যে ১৫ বছরই তিনি গৃহবন্দি ছিলেন। মিয়ানমারের সামরিক সরকার তাকে আর দেশে ফিরতে দেবে না- এমন আশঙ্কায় মুক্ত থাকার সময়েও তিনি দেশ ছাড়েননি। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন শুক্রবার মিয়ানমার সফরের সময় সু চিকে যুক্তরাজ্য সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সু চি তখন এ আমন্ত্রণকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান না করে বরং মিয়ানমারের জন্য একে বিশাল অর্জন মনে করে বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, দুই বছর আগে আমি এ আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ জানালেও যেতে পারবো না বলে দুঃখ প্রকাশ করতাম। মিয়ানমারে তখনকার ক্ষমতাসীন জান্তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মানসেই বিদেশ যেতে চাইতেন না সু চি। এমনকি ১৯৯৯ সালে স্বামী মাইকেল এরিসের মৃত্যুর সময়ও সু চি তাকে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি দেয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেন নি।
No comments:
Post a Comment