Friday, April 6, 2012

তামিলনাড়ুতে বিচ্ছেদ সবচেয়ে বেশি


ভারতের মধ্যে তামিলনাড়ুতেই বিয়ে বিচ্ছেদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ২০১০ সালের এক চিত্রে দেখা গেছে ভারতের বিয়ে বিচ্ছেদের ৮.৮ ভাগ ঘটনাই ঘটেছে তামিল নাড়ুতে। আর রাজধানী দিল্লিতে তা ৪.১ ভাগ। মহারাষ্ট্রে বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে শনিবার পাঠানো এক তথ্যে দেখা যাচ্ছে ১০ বছর বা তার চেয়েও বেশি বয়সী মোট জনসংখ্যার ৭ ভাগ হয় বিধবা হয়েছে বা তাদের বিচ্ছেদ ঘটেছে। তথ্যে দেখা যাচ্ছে অন্ধ্র প্রদেশ, কেরালা এবং কর্নাটকের মতো বড় রাজ্যগুলোর মানুষের মধ্যে বিয়ে বিচ্ছেদের হার ৮.২ ভাগে পৌঁছেছে। এর পরপরই রয়েছে ওড়িশা (৭.২), হিমাচল প্রদেশ (৭.১) এবং মহারাষ্ট্র (৭)। বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়া পুরুষদের সংখ্যা উত্তর প্রদেশে ৩.৭%, এর পরপরই রয়েছে পাঞ্জাব ৩.৪%, গুজরাট ও মধ্য প্রদেশ ৩.৩%। আর নারীদের বিয়ে বিচ্ছেদের ব্যাপারেও তামিলনাড়ু তালিকার শীর্ষে রয়েছে। সেখানকার মোট জনস্যংখ্যার মধ্যে ১০ বছর বা এর চেয়ে বেশি বয়সী মেয়েদের ১৪.৫ ভাগই বিয়ে বিচ্ছেদের শিকার। এর পরপরই রয়েছে কর্নাটক (১৪.২), কেরালা (১৪), অন্ধ্রপ্রদেশ (১৩.৬) এবং মহারাষ্ট্র। তথ্যে দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় প্রায় ছয়গুণ বেশি। ভারতের স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের রেজিস্ট্রার জেনারেল বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিপত্নীক বা বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়া পুরুষের সংখ্যা ১.৯ ভাগ। অথচ এ ক্ষেত্রে নারীর সংখ্যা ১১.৪ ভাগ। অন্য রাজ্যগুলোতেও বিয়ে বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সংখ্যার ব্যাপক পার্থক্য বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। এক্ষেত্রে অন্ধ্র প্রদেশের কথাই ধরা যাক। সেখানে বিয়ে বিচ্ছেদপ্রাপ্ত নারীর হার প্রায় ১৪ ভাগ। আর পুরুষের সংখ্যা মাত্র ২.৭ ভাগ। আসামে এ ক্ষেত্রে পুরুষের সংখ্যা ২.৩ ভাগ আর নারী ৯.৬ ভাগ। অন্য সব রাজ্যেই এ বিশাল পার্থক্যটি লক্ষ্যণীয়। স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম ২০১০ সালে ভারতে বিবাহিত এবং অবিবাহিত মানুষের সংখ্যাও প্রকাশ করেছে। ২০১০ সালে ভারতের বিবাহিত মানুষের সংখ্যা ছিল ৫৭.৭ ভাগ আর অবিবাহিত ৩৮.৫ ভাগ। অবিবাহিত জনসংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে ছিল জম্মু ও কাশ্মির। আর এ সংখ্যা সবচেয়ে কম ছিল অন্ধ্রপ্রদেশে মাত্র ৩০.৪ ভাগ।

No comments:

Post a Comment