দশ বছরের এক মেক্সিকান কন্যা এখনও মায়ের কোল ছাড়া ঘুমায় না। কিন্তু সেই শিশুই জন্ম দিয়েছে আরেক শিশু। অর্থাৎ সে এখন পুরোদস্তুর এক মা। ৩৯ সপ্তাহ অন্তঃসত্ত্বা থাকার পর মেক্সিকোর এক হাসপাতালে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেছে সে। আর এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী মা হওয়ার রেকর্ড গড়েছে মেক্সিকোর সেই কন্যা। সে উত্তরাঞ্চলীয় আদিবাসী উয়েয়ু গোত্রের সদস্য। এদের বাস লা গুয়াজিরা পেনিনসুলাতে। এ খবরে শুধু দক্ষিণ আমেরিকা নয়, পুরো বিশ্বে আলোচনার ঝড় চলছে। লোকে লোকে বলাবলি হচ্ছে- ১০ বছর বয়সের একটি মেয়ের পক্ষে কি সন্তান জন্ম দেয়া সম্ভব! ইত্যকার নানা প্রশ্ন। অনলাইন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইম এ খবর দিয়ে আরও জানায়, সামাজিক কারণেই ওই শিশুমায়ের নাম জানানো হয়নি। তার সদ্যোজাত শিশুটির ওজন ৩.৩ পাউন্ড। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই জন্ম নিয়েছে তার এই সন্তান। এ জন্য করাতে হয়েছে সিজার। সদ্যোজাত সন্তানটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। এজন্য তাকে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিশুটি এখন আগের চেয়ে ভাল আছে। এদিকে এত অপরিণত বয়সে ওই মায়ের অস্ত্রোপচার হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে নিয়ে কিছুটা শঙ্কার মধ্যে ছিলেন। তবে মা-শিশুটিও দ্রুত সেরে উঠছে। ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল, নাকি শিশুটির প্রকৃত কোন পিতৃপরিচয় আছে, তা-ই এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। মেক্সিকোর প্রচলিত আইন অনুসারে কোন নারী ধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়টি প্রমাণ করতে না পারা পর্যন্ত তাকে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়া হয় না। তবে ঘটনা যাই হোক না কেন এলাকার বাসিন্দারা একজোট হয়ে মা ও ছেলের যত্ন করবেন বলে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
Sunday, April 8, 2012
বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ মা
দশ বছরের এক মেক্সিকান কন্যা এখনও মায়ের কোল ছাড়া ঘুমায় না। কিন্তু সেই শিশুই জন্ম দিয়েছে আরেক শিশু। অর্থাৎ সে এখন পুরোদস্তুর এক মা। ৩৯ সপ্তাহ অন্তঃসত্ত্বা থাকার পর মেক্সিকোর এক হাসপাতালে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেছে সে। আর এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী মা হওয়ার রেকর্ড গড়েছে মেক্সিকোর সেই কন্যা। সে উত্তরাঞ্চলীয় আদিবাসী উয়েয়ু গোত্রের সদস্য। এদের বাস লা গুয়াজিরা পেনিনসুলাতে। এ খবরে শুধু দক্ষিণ আমেরিকা নয়, পুরো বিশ্বে আলোচনার ঝড় চলছে। লোকে লোকে বলাবলি হচ্ছে- ১০ বছর বয়সের একটি মেয়ের পক্ষে কি সন্তান জন্ম দেয়া সম্ভব! ইত্যকার নানা প্রশ্ন। অনলাইন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইম এ খবর দিয়ে আরও জানায়, সামাজিক কারণেই ওই শিশুমায়ের নাম জানানো হয়নি। তার সদ্যোজাত শিশুটির ওজন ৩.৩ পাউন্ড। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই জন্ম নিয়েছে তার এই সন্তান। এ জন্য করাতে হয়েছে সিজার। সদ্যোজাত সন্তানটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। এজন্য তাকে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিশুটি এখন আগের চেয়ে ভাল আছে। এদিকে এত অপরিণত বয়সে ওই মায়ের অস্ত্রোপচার হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে নিয়ে কিছুটা শঙ্কার মধ্যে ছিলেন। তবে মা-শিশুটিও দ্রুত সেরে উঠছে। ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল, নাকি শিশুটির প্রকৃত কোন পিতৃপরিচয় আছে, তা-ই এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। মেক্সিকোর প্রচলিত আইন অনুসারে কোন নারী ধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়টি প্রমাণ করতে না পারা পর্যন্ত তাকে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়া হয় না। তবে ঘটনা যাই হোক না কেন এলাকার বাসিন্দারা একজোট হয়ে মা ও ছেলের যত্ন করবেন বলে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment