Sunday, April 8, 2012

সহিংসতা অব্যাহত- সিরিয়ায় নিহত ৭০



জাতিসংঘের বেঁধে দেয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেয়ার সময় যতই ঘনিয়ে আসছে সিরিয়ার শাসকগোষ্ঠী জনতার ওপর হত্যা, নির্যাতন ততই বাড়িয়ে দিয়েছে। গতকাল নতুন করে চালানো সহিংসতায় কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছেন। তবে কোন কোন রিপোর্টে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি করা হয়েছে। এ অবস্থায় সিরিয়া সরকারের ভূমিকায় নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। তিনি বলেছেন, আগামী ১০ই এপ্রিল থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন করার শর্ত মেনে নিয়েছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকার। কিন্তু তার আগে অব্যাহত এ হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাওয়া মেনে নেয়া যায় না। ওদিকে সিরিয়ায় চলমান হত্যা, নির্যাতনের ঘটনায় তুরস্কে সিরিয়ার শরণার্থীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে তুরস্ক বলেছে, তাদের জাতিসংঘের সহায়তা প্রয়োজন হতে পারে। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে আলোচনার পর তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ দাভুটোগলু বলেছেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ আরব লীগ সমর্থিত জাতিসংঘের শান্তিচুক্তি মেনে নেয়ার আগে যে পরিমাণ শরণার্থী তুরস্কে গিয়েছেন এখন তার দ্বিগুণহারে শরণার্থী যাচ্ছেন তুরস্কে। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে আরও বলা হয়েছে, সম্প্রতি আরব লীগ সমর্থিত জাতিসংঘের ৬ দফা যুদ্ধবিরতি মেনে চলার জন্য দূতিয়ালি করেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান। তার ওই উদ্যোগে সব পক্ষকে ১০ই এপ্রিল থেকে যুদ্ধবিরতি করতে বলা হয়। ১২ই এপ্রিল তা পুরোপুরি মেনে চলতে বলা হয়। সিরিয়া এ প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। কিন্তু সিরিয়ার বিরোধীরা, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য অনেক দেশই মনে করে সিরিয়া এ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে বলে তাদের মনে হয় না। বান কি মুন এক বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, সম্প্রতি বেসামরিক লোকজনের ওপর যে সহিংসতা চালানো হচ্ছে তা জাতিসংঘের দাবিকে লঙ্ঘন করেছে। তিনি ওই বিবৃতিতে সরকারকে সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানান। তুরস্ক বলেছে, যদি সে দেশে বর্তমান হারে শরণার্থী আশ্রয় নিতে থাকে তাহলে তাদের আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন হবে। এতে বলা হয়, ৩৬ ঘণ্টায় সীমান্ত অতিক্রম করে ২৮০০ সিরীয় তুরস্কে প্রবেশ করেছে। সব মিলে এখন শরণার্থীর সংখ্যা ২৪ হাজারের বেশি। মানবাধিকার কর্মীরা বলেছেন, শুক্রবারও সিরিয়ায় সহিংসতা অব্যাহত ছিল। বিবিসির সাংবাদিক জিম মুরি বৈরুত থেকে বলছেন, হোমস ও অন্য কয়েকটি এলাকায় সহিংসতা চরম আকার ধারণ করেছে। গতকালও হামা শহরের লাতামনেহ এলাকায় সরকারি বাহিনী হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছে। ওদিকে জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল এখন দামেস্কে রয়েছে। তারা জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ ও যুদ্ধবিরতি তদারক করছে। কফি আনান বলেছেন, যদি সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি বা অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয় তাহলে জাতিসংঘের একটি ছোট ভ্রাম্যমাণ দল পাঠানো হবে সিরিয়ায়। তাতে থাকতে পারে ২০০ থেকে ২৫০ সদস্য।

No comments:

Post a Comment