
মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত অ-ইউরোপীয় নাগরিকদের বৃটেনে প্রবেশে বাধা দেয়ার একটি নতুন আইন প্রয়োগ করা হতে পারে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্ষেত্রে। মানবাধিকার বিষয়ক কর্মীরা রোববার বলেছেন, প্রস্তাবিত এই আইনটি মোদির ক্ষেত্রে প্রয়োগের দাবি জানাবেন তারা। ২০০২ সালে গুজরাটের গোদরায় সমপ্রদায়গত দাঙ্গার পরবর্তী গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে মোদির বিরুদ্ধে। ওই সময় সেখানে ১২শ’ মানুষকে করা হয়। বৃটেন-ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সাউথ এশিয়া সলিডারিটি গ্রুপের মুখপাত্র অমৃত উইলসন বলেন, যদিও অন্য দেশ থেকে বৃটেনের মানবাধিকার মনিটরিং আমরা করতে পারি না। তবুও এমন আইন যদি হয়ে থাকে তবে মোদির বিরুদ্ধে সেটা ব্যবহার করা উচিত। কেননা গুজরাট গণহত্যায় তার জড়িত থাকার বিষয়ে অনেক মানবাধিকার সংস্থা অভিযোগ করেছে। যার মধ্যে অ্যামনেস্টির মতো সংস্থাও রয়েছে। আমরা আশা করবো, মোদির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনা করা হবে না। বৃটেন সরকারের মানবাধিকার রিপোর্ট অনুযায়ী গতকাল নতুন আইনটি ঘোষণা করার কথা। দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, নতুন আইনটি হবে এমন-ইউরোপিয়ান অর্থনৈতিক এলাকার বাইরের নাগরিকরা বৃটেনে আসতে চাইলে তাদেরকে সন্তোষজনকভাবে অভিবাসন আইন মেনে আসতে হবে। যাতে বলা হয়েছে, যদি কারও বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন বিশ্বাসযোগ্যভাবে প্রমাণিত হয়, তবে সাধারণভাবে তাকে বৃটেনে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। ২০০৩ সালে বৃটেন সফরে গিয়ে তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়েন মোদি।
২০০৫ সালে মানবাধিকার গ্রুপগুলো তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারির হুমকি দিলে বৃটেন সফর বাতিল করতে বাধ্য হন তিনি। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রও মোদিকে ভিসা না দেয়ার বিষয়ে ২০০৫ সালের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবে না বলে জানিয়েছে। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ।
No comments:
Post a Comment