Tuesday, May 8, 2012

ইসরাইলের কারাগারে ১৫৫০ ফিলিস্তিনির অনশন

 কোন অভিযোগ ছাড়াই আটক রাখার প্রতিবাদে অনশন করছেন দুই ফিলিস্তিনি। তারা ইসরাইলের কারাগারে গত ৭০ দিন যাবৎ এই অনশন করে যাচ্ছেন। তাদের ছেড়ে দেয়ার জন্য একটি আপিল খারিজ করে দিয়েছে ইসরাইলের সুপ্রিম কোর্ট। ওই দুই ফিলিস্তিনি হলেন- বিলাল দিয়াব (২৭) ও থায়ের হালালেহ (৩৪)। অভিযোগ ছাড়া সন্দেহজনক কোন ব্যক্তিকে আটক রাখাকে ইসরাইলিরা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিটেনশন আখ্যা দিয়ে থাকে। এই আইনের আওতায় আটক রাখার বৈধতার বিষয়ে আপিল করেছিলেন ওই দুই বন্দি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তা প্রত্যাখ্যান করে। ওই দুই ফিলিস্তিনির পক্ষে জামিল খতিব বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেছেন, ইসরাইলি আদালতের এ বিষয়ে ইতিবাচক কিছু বলার নেই। এর মাধ্যমে  বোঝা যায়, সেখানে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কথাই শেষ কথা। জামিল খতিব বলেছেন, এ অবস্থায় বিলাল ও থায়ের অনশন অব্যাহত রাখবেন। তারা মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত অনশন করে যাবেন। জেলে ভাল সুবিধার দাবিতে ও অভিযোগহীন আটকের বিরোধিতা করে ইসরাইলের কারাগারে কয়েক শত বন্দি অনশন করছেন। বিলাল ও থায়ের তাদেরই দু’জন। অনশনকারীদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গত শনিবার আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছে। এ অবস্থায় তাদেরকে মেডিকেল পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এ কথা বলেছে ইসরাইলের কারা বিভাগের এক মুখপাত্র। বলা হচ্ছে, ইসরাইলি কারাগারে এমন অনশন করছেন কমপক্ষে ১৫৫০ ফিলিস্তিনি বন্দি। তবে মানবাধিকারবিষয়ক কর্মীরা দাবি করেন, এ সংখ্যা ২৫০০ পর্যন্ত হতে পারে। ইসরাইলের কারাগারে এখন ৪৬০০ ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছেন। যারা অনশনে অংশ নিয়েছেন তাদের বেশির ভাগই ১৯ দিন আগে থেকে খাদ্য গ্রহণ করা বন্ধ করে দিয়েছেন। অবস্থার অবনতি হলে গত সপ্তাহে বিলালকে একটি বেসামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়। তখন মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা হিউম্যান রাইটস-ইসরাইল বলেছে, তার জীবন সঙ্কটাপন্ন। যেকোন সময় তিনি মারা যেতে পারেন। তাদের মাংসপেশী দুর্বল হয়ে পড়েছে। তারা দাঁড়াতে পারছেন না। থায়ের হালালে’কে ২০১০ সালের ২৮শে জুন আটক করা হয়। তারপর থেকে তিনি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিটেনশনের অধীনে বন্দি রয়েছেন। বিলালকে আটক করা হয় ২০১১ সালের ১৭ই আগস্ট।

No comments:

Post a Comment