১৮০০ কোটি ডলারম্যান

মাত্র ২৭ বছর বয়সে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মার্ক
জোকারবার্গ ১৮শ’ কোটি ডলারম্যানে পরিণত হতে যাচ্ছেন। এর মাধ্যমে বিশ্বের
সেরা ৩০তম ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হবেন এ মাসে ২৮ বছরে পা দিতে যাওয়া
জোকারবার্গ। ১৮ই মে ফেসবুক শেয়ারবাজারে যাত্রা শুরু করার পর এ পর্যায়ে
পৌঁছাবেন তিনি। এতে করে জোকারবার্গের সম্পদের পরিমাণ হবে প্রযুক্তিতে তার
প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভ ব্যালমারের
(৫৬) চেয়ে অনেক বেশি। যিনি বয়সে জোকারবার্গের দ্বিগুণ। একই সঙ্গে
জোকারবার্গের সম্পদের পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে মিশেল ডেল (৪৭) ও রাশিয়ার স্টিল
বিলিয়নিয়ার ভ্লাদিমির লিসিন (৫৫)’র সম্পদকেও। যারা উভয়েই জোকারবার্গ থেকে
বয়সে দ্বিগুণ বড়। ১৮ই মে শেয়ারবাজারে প্রবেশ করতে যাওয়া ফেসবুক তাদের
আইপিও’র ফেসভ্যালু রেখেছে ২৮-৩৫ ডলার পর্যন্ত। এতে করে ফেসবুকের মার্কেট
ভ্যালু হবে ৮ হাজার ৫০০ থেকে ৯ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। যা সিলিকন ভ্যালির
ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আইপিও। এর আগে সবচেয়ে বড় আইপিও ছিল গুগুলের। সেটা ছিল
২০০৪ সালে ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। ফেসবুকের ভ্যালু আরও ১১৮০ কোটি বেড়ে ১০
হাজার কোটি ডলার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ফেসবুক জনপ্রিয় হওয়ায় প্রাথমিক
আইপিও পেতে বিনিয়োগকারীদের হামলে পড়ার বেশ সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও কেউ কেউ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির দীর্ঘস্থায়ী অগ্রযাত্রা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ
করেছেন। ওদিকে শেয়ারবাজারে এলেও কোম্পানির ওপর থেকে কর্তৃত্ব যাবে না
প্রতিষ্ঠাতা জোকারবার্গের। কারণ এতে তার ব্যক্তিগত শেয়ার থাকছে প্রায় ১৮শ’
কোটি ডলার। যা কোম্পানির মোট শেয়ারের ৩১.৫ ভাগ। একই সঙ্গে কোম্পানিতে তার
ভোটের ক্ষমতা থাকবে ৫৮ ভাগ। সবচেয়ে বড় ইন্টারনেট আইপিও নিয়ে মার্কেটে আসতে
যাওয়া ফেসবুকের দাম অনেক বাড়তে পারে। আর এটা শুধু অর্থনৈতিক বিচারে হবে না।
বরং দুনিয়া জুড়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা সামাজিক সাইটটির ৯০ কোটি
ব্যবহারকারীও হবে এর ভ্যালুর অন্যতম কারণ। শিগগিরই আইপিও রোড শো শুরু করবে
ফেসবুক। সেখানে কোম্পানির নির্বাহীরা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে এতে বিনিয়োগের
উপযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবেন। ১৭ই মে পর্যন্ত চলবে প্রাথমিক কাজকর্ম। তারপর
১৮ই মে পাবলিক অভিষেক হবে ফেসবুকের। লাসদাকে (মার্কিন শেয়ার মার্কেট
নিয়ন্ত্রক সংস্থা) অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে বিসকো সিস্টেম ও অ্যামাজনের
বর্তমান মার্কেট ভ্যালুর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে যাচ্ছে ফেসবুক। এর মধ্য
দিয়ে কম বয়সে সফল নেতা হয়ে উঠতে যাচ্ছেন জোকারবার্গ। যিনি হার্ভার্ড
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে যোগাযোগের রক্ষা করার জন্য শুরু করেছিলেন
ফেসবুক।
No comments:
Post a Comment